২০২২ সালের ৬ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৫৯ জন ভিক্ষুককে গ্রেফতার করেছে আবুধাবি পুলিশ। কিন্তু তাদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন, যিনি বিলাসবহুল গাড়ি থাকার পরও মসজিদের সামনে বসে ভিক্ষার জন্য হাত পাততেন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ভিক্ষা করার জন্য একজন নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিলেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। পরে পুলিশ তার ওপর নজরদারি করে এবং শহরের বিভিন্ন এলাকায় মসজিদের সামনে তাকে ভিক্ষা করতে দেখে। ওই নারী আধুনিক মডেলের বিলাসবহুল গাড়ি দূরে পার্ক করে রেখে হেঁটে মসজিদ পর্যন্ত যেতেন। পরে তার কাছ থেকে ভিক্ষা করে পাওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থও উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই নারী বিরুদ্ধে মামলা এবং তার কাছে পাওয়া নগদ অর্থ জব্দ করা হয়।
কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ভিক্ষা করা একটি সামাজিক অভিশাপ, যা যেকোনো সমাজের সভ্য ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করে। ‘ভিক্ষা করা সমাজে অসভ্য কাজ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে এটি অপরাধ। ভিক্ষুকরা প্রতারণা করতে পারে এবং মানুষের উদারতাকে পুঁজি করে লোক ঠকিয়ে অর্থ উপার্জনে নেমে পড়ে’, বলছে পুলিশ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা জানান, ভিক্ষা করার শাস্তি হলো তিন মাসের কারাদণ্ড এবং কমপক্ষে ৫ হাজার দিরহাম অর্থদণ্ড অথবা দুটির মধ্যে যেকোনো একটি দণ্ড। এ ছাড়া সংঘটিত ভিক্ষাবৃত্তির শাস্তি হলো ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং কমপক্ষ এক লাখ দিরহাম জরিমানা।
পুলিশ জানায়, এটি জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ভিক্ষাবৃত্তির মতো খারাপ কাজ রোধ করতে আমিরাতজুড়ে সমন্বিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে রমজান মাসে ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান চালাতে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
এর আগে, কেউ ভিক্ষা করে ধরা পড়লে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পুলিশ।
পুলিশের তথ্যমতে, দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অফিসিয়াল চ্যানেল স্থাপন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার এবং যাদের অনুদান প্রয়োজন তাদের এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিবন্ধন করা উচিত।
সূত্র : খালিজ টাইমস।
আরো পড়ুন : জাহাঙ্গীরের মেয়র পদও ফিরিয়ে দেওয়া হোক