বিএনপির গণসমাবেশকে সামনে রেখে সিলেট বিভাগে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। তারপরও থেমে নেই বিএনপি নেতাকর্মীরা। যেকোনো উপায়ে সমাবেশে যোগ দিতে তারা বেছে নিয়েছেন বিকল্প রাস্তা। এ জন্য ব্যবহার করছেন নৌপথ। অনেকেই চলে এসেছেন শুক্রবার দিনে। আজ রাতে ও কাল শনিবার সকালের মধ্যেই নৌপথে সিলেট এসে পৌছাবেন আরও অনেক নেতাকর্মী।
শুক্রবার বিকেলে সিলেটের সুরমা নদীর শেখঘাট এলাকায় ডজনখানেক নৌকা ঘাটে লাগানো অবস্থায় দেখা গেছে। সেসব নৌকা সুনামগঞ্জ থেকে বিএনপি কর্মীদের নিয়ে সিলেটে এসেছে বলে জানিয়েছেন ছাতক থেকে আসা নৌকার এক মাঝি। নৌকায় গণসমাবেশের ব্যানার লাগানোও দেখা গেছে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বেশ বিছু প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লোকজন নৌকায় চড়ে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এ ছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক এলাকা থেকে লোকজন দুদিন আগেই সিলেটে এসে অবস্থান নেন। কেউ থাকছেন মাদ্রাসা মাঠে, কেউ আবার কমিউিনিটি সেন্টারে। বিএনপি ও ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মীদের বাসা বাড়িতেও অনেকে রাত যাপন করছেন। এ ছাড়া নগরীর হোটেলগুলোও ফাঁকা নেই।
বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন বলেন, ‘সরকার বিএনপির গণজোয়ার দেখে পরিবহন মালিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে ধর্মঘট করিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে সাধারণ মানুষের দল। যাদের বিএনপির প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস আছে এবং যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে চায় তারা যেকোনো উপায়ে সমাবেশে আসবেন।’
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আনিসুল হক জানান, ‘বিএনপির জনসমাবেশ বাধা সৃষ্টি করে কোনো লাভ হবে না। সব বাধা অতিক্রম করে বিএনপি নেতা কর্মীরা সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে পৌঁছেছেন। অনেক নেতাকর্মী নদী পথে আসছেন, তারা সকাল ১০-১১টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন।’ তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, র্ধমপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা থেকে তার নেতৃত্বে ৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মী-সমর্থক সিলেট এসেছেন বলে জানান আনিসুল হক।
আনিসুল হক বলেন, বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশে বাধা দিতে সমাবেশের দিন ও আগের দিন বিভাগজুড়ে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তাই হাওর এলাকা থেকে নদী পথে নৌকা দিয়ে এবং সড়ক পথে মোটরসাইকেল দিয়ে সমাবেশ সফল করতে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা দুইদিন আগেই রওনা দিয়েছেন। এ ছাড়াও জেলা বিএনপির নেতৃত্বে প্রায় ৮ হাজার মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে নেতাকর্মীরা সড়ক পথে বৃহস্পতিবার সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, গণসমাবেশে যাওয়ার পথে প্রশাসন আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন বলে আশা করছি। অন্যথায় নদী ও সড়কপথে যদি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয় তবে এর দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে।
আরো পড়ুন : ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যেই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সমঝোতা