রহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানের স্বেচ্ছাচারিতা,অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সদস্যের অনাস্থা
গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ৫ নং রহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানের স্বেচ্ছাচারিতা,অনিয়ম ও দূর্নীতীর কারণ দেখিয়ে ৯ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে । এরমধ্যে সংরক্ষিত সদস্য তিনজন ও সাধারণ সদস্য ছয়জন রয়েছে । এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ১৭ নভেম্বর বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন তাঁরা । তবে এখন পর্যন্ত তদন্ত না হওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই ইউপি সদস্যরা।
অভিযোগে জানা গেছে,গত ১৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের নিকট করা লিখিত অনাস্থা প্রস্তাবে নিয়মিত মাসিক সভা না হওয়া,সভা না করে সদস্যদের স্বাক্ষর গ্রহন,সভায় ইউপি সদস্যদের মতামতকে অগ্রাহ্য করাসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করা ৯ নং ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন রেজার নিকট ইতোপূর্বে একটি লিখিত আবেদন করলে চেয়ারম্যান দুঃখ প্রকাশ করে পরবর্তীতে সঠিকভাবে পরিষদ পরিচালনা করার অঙ্গীকার করলেও তিনি সেখান থেকে সরে আসায় আমরা বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করতে বাধ্য হয়েছি। অনাস্থা প্রস্তাবে তিনি ছাড়াও স্বাক্ষর করেছেন,সংরক্ষিত ৩ নারী ইউপি সদস্য রোকিয়া বেগম,নারগিস বেগম ও রুমেশা বেগম,প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মজলু মিঞা, ১নং ওয়ার্ডের মনিরুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ডের বাচ্চু আলী,৪নং ওয়ার্ডের মনিরুল ইসলাম মুকুল ও ৫নং ওয়ার্ডের মোঃ খলিল।
ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মজনু মিঞা বলেন, চেয়ারমান একক সিদ্ধান্তে পরিষদ পরিচালনা করে থাকেন। সদস্যদের কোন পাত্তা দেয়া না। বরাদ্দ বিষয়ে কোন কিছু তাঁদের অবগত না করে তিনি একাই সিদ্ধান্ত নেন। তিনি পরিষদের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িত বলে তিনি জানান ।
এ প্রসঙ্গে রহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মুঠো ফোনে বলেন, আমি শুনেছি তাঁরা একটি অভিযোগ দিয়েছে। সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে ফোনটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ- পরিচালক দেবেন্দ্রনাথ ওরাঁও জানান, অভিযোগের পেক্ষিতে কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
আতিকুল ইসলাম আজম, গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)
আরো পড়ুন : আজ পবিত্র জুমা মোবারক, শুক্রবার দিনের আমল ও ফজিলত