‘শরীফ থেকে শরীফা’ ইস্যুতে সরগরম সামাজিকমাধ্যম। সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে ‘শরীফ ও শরীফা’র গল্প নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবের সমালোচনার পরই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পাঠ্য বই থেকে শরীফ ও শরীফার গল্প বাদ দিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাধারণ জনতা সবাই। এ বিষয়ে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মালয়েশিয়া প্রবাসী মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ওই সব পুরুষকে লানত করেছেন, যারা নারীর সাদৃশ্য ধারণ করে এবং ওইসব নারীকে যারা পুরুষের সাদৃশ্য ধারণ করে। (বুখারি, হাদিস, ৫৮৮৫)
কুরআনের সূরা নিসার একটি আয়াতে শয়তানের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে আজহারী উল্লেখ করেছেন, ‘আমি (শয়তান) অবশ্যই তাদেরকে আদেশ দেব যার ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবেই। তবে যে আল্লাহর পরিবর্তে শয়তানকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করেূ, সে স্পষ্টতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। (সূরা নিসা, আয়াত, ১১৯)
মনে মনে নিজেকে মেয়ে ভাবার বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘কোনো শিয়াল যদি বলে— আমি নিজেকে মুরগি মনে করি, তাহলে কি শিয়ালকে মুরগির সঙ্গে রাখা যাবে? অবশ্যই না। রাখলে মুরগি যেমনি তার অস্তিত্ব হারাবে, ঠিক তেমনি এই রূপান্তর মতবাদের কারণে নারী-পুরুষের প্রাকৃতিক বাইনারিও অস্তিত্ব হুমকিতে পড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কোমলমতি শিশুদের ফিতরাত কলুষিত করার মানব অস্তিত্ব বিধ্বংসী এই মতবাদকে স্পষ্ট ভাষায় ‘না’ বলুন। দল-মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সরব প্রতিবাদ করুন। পশ্চিমা এই অসভ্যতার বিস্তার রুখে দেওয়ার সময় এখনই। বিকৃত মনষ্করা যেন মনে না করে, দেশের সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষেরা প্রতিবাদের সামর্থ্য হারিয়েছে।’
আরো পড়ুন : ‘রঙ্গনা’র ফার্স্ট লুক প্রকাশ; সমালোচনায় যা বললেন শাবনূর