শাবি শিক্ষার্থী মৃত্যুর আগে যে কথা লিখে গেলেন ফেসবুকে

তথ্য-প্রযুক্তি পুরুষ প্রচ্ছদ মনোকথা শিক্ষা হ্যালোআড্ডা

সিলেট অফিস: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন একটি মেস থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ওই শিক্ষার্থীর নাম আরিফ মিয়া। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ায়। তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী। তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে জানান, আনুমানিক ভোর ৪টায় সে গলায় ফাঁস দিয়েছে। সকাল ৮টায় পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। আরিফের আত্মহত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। তার মানসিক সমস্যা ছিল বলে জেনেছি। এর আগেও একবার এমন চেষ্টা করেছিল । সে মানসিক সমস্যায় চিকিৎসাধীন ছিল। পুলিশ ময়না তদন্ত করবে। তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, তারা আসতেছেন।

এদিকে আরিফের সহপাঠিরা ফেসবুক পোস্ট ঘেটে জানান, বুধবার দিবাগত রাত দুইটার আগ পর্যন্ত একাধারে অনেকগুলো পোস্ট দিয়েছেন। সেগুলোতে বিষন্নতা ও কাউকে না পাওয়ার আকুলতা প্রকাশ পেয়েছে।

আরিফের সর্বশেষ পোস্ট ছিলো- ‘বিষন্ন রজনী, কিছু চাওয়ার নেই। কিছু পাওয়ার নেই। ছাড়তে হবে চেনা গলি, চেনা রাস্তা, চেনা জগৎ। দুনিয়াটা খুবই নিষ্ঠুর। দুনিয়াটা খুবই নিষ্ঠুর। এই যে প্রেম, এই যে সৌন্দর্য, এই যে শরীর, নিরর্থক। এখানে শ্রষ্টার নজর ও আসে না। সময় মেপে নিয়ম করে সূর্য-চন্দ্র জিয়য়ে রাখে কিছু আকুল প্রাণ। জীবনটা এখানে কীটপতঙ্গের। ভালোবাসা এখানে স্থবির।’

এদিকে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পেয়ে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এসময় তিনি বলেন, এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক। এ ধরনের ঘটনা আমরা কখনোই প্রত্যাশা করি না। আমরা তার পরিবারের সাথে কথা বলেছি। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

শিক্ষার্থীদেরকে বিপদে-আপদে ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার অনুরোধ জানান উপাচার্য।

কাওছার আহমদ

আরো পড়ুন : প্রথমবারের মতো পরমাণু যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *