অর্থনৈতিক রিপোর্টার: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল হবে না। প্রয়োজন হলে আইনের বিধি সংযুক্ত বা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হবে। রোববার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে আরবিট্রেশন আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যদিও এই আইনে কিছু ত্রুটি আছে এটা আগেও আমরা বলেছি। তবে সরকার তা সমাধানের চেষ্টা করছে। প্রথম আলোর সম্পাদক ও নিজস্ব প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের কোনো গণমাধ্যম বা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সরকার মামলা করেনি; মামলা হয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অপরাধের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বিশ্বের সব দেশে আছে। কিন্তু সেখানে হয়তো সরাসরি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বলা নেই। ডিজিটাল অপরাধ কমাতে এ আইন করেছে সব দেশ।
আনিসুল হক বলেন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে আইনি কার্যক্রম সম্পন্ন করে বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা যায়।
তিনি জানান, বর্তমান সরকার দেশে ব্যবসা-সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কারে বদ্ধ পরিকর এবং বতর্মান প্রেক্ষাপটে ‘আরবিট্রেশন আইন ২০০১’ সংস্কারের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
ব্যবসায়ীদের আরও বেশিহারে এডিআর কার্যক্রম ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, কার্যকর এডিআর ব্যবস্থাপনা বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তিনি জানান, মেডিয়েন কনভেনশন স্বাক্ষরিত হবে এবং সিপিসি অ্যাক্ট ইতোমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে। আরবিট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকা প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে আরবিট্রেশন আইনের সংস্কার জরুরি: ঢাকা চেম্বার
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির ধারাকে আরও বেগবান করার পাশাপাশি বাণিজ্য-সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে আমাদের একটি কার্যকর আইনি কাঠামো প্রয়োজন, যা বিশেষ করে ক্রস-বর্ডার বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে দ্রুত ও দক্ষ কন্ট্রাক্ট এনফোর্সমেন্ট বাস্তবায়ন সক্ষম। বর্তমান আইনি কাঠামোতে এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রথম ধাপেই বিদ্যমান বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি আইনের প্রয়োজনীয় সংষ্কার একান্ত অপরিহার্য বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট ব্যারিস্টার আশরাফুল হাদি।
আরো পড়ুন : সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ৫ই এপ্রিল দেশে ফিরবেন প্রেসিডেন্ট