বিশেষ প্রতিনিধি : অনেকেই প্রশ্নটি তুলছেন। উত্তর খোঁজার লোকও কম নয়। যে যার মতো বুঝ নিচ্ছেন! রাজনীতিতে যেটা হয় আর কি! ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে। কিন্তু ভোটের তো আসলে আরও কয়েক মাস বাকি। বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীতে কোনো নির্বাচন সম্ভবত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এতটা দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়নি। মেহমানরা আসছেন, যাচ্ছেন। বার্তাটি কী এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। রাজ কূটনীতির ভাষা আলাদা। যা কখনো ফল দিতে সময় নেয়। বলা হচ্ছে, বিদেশিরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে না।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সরকার পদ্ধতি নিয়ে কথা অতীতেও তারা কখনো বলেননি। সমঝোতা-সংলাপের কথা আগে বহুবার বিদেশিদের মুখে শোনা গেছে। কিন্তু সরকার পদ্ধতির ব্যাপারে বরাবরই তারা ছিলেন নীরব। কারণ এটি একটি দেশের একান্তই নিজস্ব বিষয়। ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তুমুল আন্দোলন হয়েছিল। যার নেতৃত্বে ছিল বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সঙ্গী হয়েছিল অন্যান্য দলগুলো। পালিত হয় ১৭৬ দিন হরতাল। কিন্তু সে সময়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেননি কূটনীতিকরা। বিগত বিএনপি’র আমলে প্রথম সংকট তৈরি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বয়স বাড়ানোকে কেন্দ্র করে। যাতে বিচারপতি কেএম হাসানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হওয়ার পথ খুলে যায়। যদিও পরে বিরোধীদের আন্দোলনের মুখে তিনি সে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। সে সময়ও বিদেশিরা কেএম হাসানের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার বিরোধিতা করেনি। অত্যন্ত নাটকীয়ভাবে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের প্রধান উপদেষ্টা হওয়া নিয়েও তারা প্রকাশ্যে কখনো কোনো মন্তব্য করেনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার পদ্ধতির সঙ্গে একটি দেশের সাংবিধানিক এবং আইনি বিষয় জড়িত। স্বাভাবিকভাবেই কূটনীতিকরা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেন না। কিন্তু নির্বাচনকে আমেরিকা বা পশ্চিমা দুনিয়া কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় মনে করে না। বরং তারা মনে করে এ নিয়ে সবারই কথা বলার অধিকার আছে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা এবং তার মিত্রদের চাওয়া কী তা অনেকটাই স্পষ্ট করে দিয়ে গেছেন ঢাকা সফর করে যাওয়া মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করা।
আরো পড়ুন : অডিট আপত্তি দিয়েছে অডিট বিভাগ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০ কোটি টাকার নয়ছয়