খুলনায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ১২২টি মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়াও জেলার উপকূলবর্তী কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপসহ মোট ৩৭টি ইউনিয়নের দেড় সহস্রাধিক কাঁচাবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ইতোমধ্যে ৩০ টন চাল ও নগদ পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনায় মোট ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয় ঝড়ের আগেই। প্রায় ৪০ হাজার মানুষ সিত্রাংয়ের সময় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করেন। সবারই নিরাপদে ছিলেন। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়।
খুলনার মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, সিত্রাংয়ের সময় প্রবল জোয়ারের চাপে পাইকগাছা উপজেলার মোট ৮৩ কৃষকের মোট ১২২টি মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে বাগদা, গলদা, সাদা মাছসহ ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৭৫ লাখ টাকা।
জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, আমার আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করি। উপকূলবর্তী কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপসহ বিভিন্ন উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
খুলনায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি উল্লেখ করে তিনি জানান, আশ্রয়কেন্দ্রের অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিদের শুকনা খাবার ও খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। জেলার কোথাও কোনো প্রাণহানির ঘটনা নেই। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দের জন্য চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : রাজ্য পাওয়ার গল্পে নিজেও কাঁদলেন অতিথিদেও কাঁদালেন রাজ-পরী