স্বামী দেশে ফেরার পর ফুল দিয়ে বরণ করলেন মাহিয়া মাহি

তথ্য-প্রযুক্তি প্রচ্ছদ বিনোদন সিনেমা হ্যালোআড্ডা

গাজীপুর প্রতিনিধি: চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির স্বামী রকিব সরকার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে দেশে ফিরেছেন। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে তিনি সৌদি আরব থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। পরে বিমানবন্দর থেকে রকিব তাঁদের ঢাকার বাড়িতে গেছেন। মাহিয়া মাহির আইনজীবী আনোয়ার সাদাত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে দেশের ফেরার পর স্বামী রকিবকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন মাহিয়া মাহি। এ–সংক্রান্ত একটি ছবি মাহিয়া মাহি তাঁর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দিয়েছেন।

রকিব সরকারের বরাত দিয়ে আইনজীবী আনোয়ার সাদাত বলেন, রকিব সরকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ‘মিথ্যা মামলাগুলো’ তিনি আইনিভাবেই মোকাবিলা করবেন। তবে রকিবের জামিন আবেদনের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। এ বিষয়ে আলোচনা করে পরে জামিন চাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে ওমরা পালন শেষে গতকাল শনিবার সকালে সৌদি আরব থেকে ঢাকায় আসেন মাহিয়া মাহি। তবে দেশে ফেরার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মহানগর পুলিশ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার হন মাহিয়া মাহি। এরপর দুপুরে গাজীপুর আদালতে নিয়ে তাঁর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মাহিয়া মাহির আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান মাহিয়া মাহি। কারামুক্ত হয়ে গতকাল রাতেই মাহিয়া মাহি শহরের তেলিপাড়া এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেন।

এদিকে মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করার পর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় তিনি বলেন, ‘মাহিয়া মাহি জমিসংক্রান্ত ঘটনায় পুলিশকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে মিথ্যাচার করেছেন, ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন। এভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তিনি মন্তব্য করার অধিকার রাখেন না। আর বিরোধপূর্ণ জমির বিষয়ে মাহি বা রকিব কখনো তাঁর কাছে যাননি।

আরো পড়ুন : আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের নাম শুনলেই ‘শান্তি কমিটির’ কথা মনে পড়ে

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *