স্বৈরশাসককে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় করতে হবে

প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি

কুমিল্লা প্রতিনিধি : সরকার পাঠ্যপুস্তককে বিকৃত করে শিক্ষার্থীদের ভুল ইতিহাস শিক্ষা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। শনিবার কুমিল্লা টাউনহল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ড. মোশাররফ বলেন, এই সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আন্তর্জাতিক মহল এই সরকারকে একটি হাইব্রিড সরকার উপাধি দিয়েছে। যে দেশে গণতন্ত্র নাই, সে দেশের সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় না। কিছুদিন আগে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, দিনের ভোট রাতে হওয়ার মতো ঘটনা তিনি দেখেননি। এই সরকার স্বাধীনতার পর গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। বাকশাল কায়েম করেছে। গত ১৪ বছরেও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। কিছুদিন আগে উপনির্বাচনে পাঁচ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে যায়নি। এ থেকে প্রমাণ হয়, যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, তাদের পক্ষে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার এক লাখের বেশি মামলা করে বিএনপির ৩৭ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করেছে। তারা বিএনপিকে দাবিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু বিএনপি আরো শক্তিশালী হয়েছে। তারা টাকা পাচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ মধ্যবিত্ত গরিব হয়ে গেছে। তারা ধনী থেকে ধনী হয়ে গেছে। তারা এ দেশের আইন, বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা এই র‌্যাবকে দিয়ে অমানবিক কাজ করিয়েছে। এরা তাই স্যাংশন খেয়েছে।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, পাঠ্যপুস্তককে বিকৃত করে তারা ভুল শিক্ষা দিচ্ছে। তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেটাকে তারা মেরামত করতে পারবে না। আজকে জ্বালানি তেল, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, পানির দাম বৃদ্ধি করেছে। তারা এই দাম আর কমাতে পারবে না, নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। কোনো স্বৈরশাসক আপসে বিদায় হয় না, তাদের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় করতে হবে।

বক্তব্যের শেষে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন ড. মোশাররফ হোসেন।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাইদ ও চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

আরো পড়ুন : ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *