নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে সম্পদ বিবরণী জমা দিয়েছেন এমপি প্রার্থীরা। সেই সম্পদ বিবরণে আগের হলফনামার সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ চলছে সর্বত্র। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের চেয়ে তাদের স্ত্রীরা সম্পদে এগিয়ে গেছেন। অনেক মন্ত্রী-এমপির গৃহিণী স্ত্রীদেরও আয় ও সম্পদ বেড়েছে। আমাদের জেলা প্রতিনিধিরা প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে পাঠিয়েছেন। আরো পড়ুন : শামীম ওসমান ঋণগ্রস্ত হলেও হলফনামার তথ্যমতে ইনুর নগদ অর্থ বেড়েছে ৫২ গুণ
পটুয়াখালী : পটুয়াখালী-২ আসনের সাতবারের এমপি ও সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এক সময় ব্যাংক ঋণের দায়ে প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেলেও এখন তার বার্ষিক আয় দেড় কোটি টাকার বেশি। প্রায় ২৫ কোটি টাকা ঋণের দায়মুক্ত হয়ে তার শুধু আয়ই বাড়েনি বেড়েছে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ। তার গৃহিণী স্ত্রীরও আয় ও সম্পদ বেড়েছে। গত ১৫ বছরে তার আয় বেড়েছে ৯ গুণ, তার চেয়ে তার স্ত্রীর বেড়েছে ৪৬ গুণ। তবে তার ঋণের পরিমাণ আগের তুলনায় কমেছে। সন্তানদের আয়-ব্যয়ের হিসাব নেই হলফনামায়।
নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজের দেওয়া তথ্যে পাওয়া গেছে, ২০০৮ সালে হলফনামায় তিনি তার বার্ষিক আয় দেখান ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকাসহ তখন তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ১ কোটি ৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ব্যাংক ঋণ ছিল ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫ হাজার টাকা। তখন তার স্ত্রীর কোনো আয় না থাকলেও তার ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণ এবং ৬০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক্স মালামালসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ৩ লাখ ৯২ হাজার টাকার। এ সময় এমপি পরিবারের যৌথ মালিকানায় ছিল ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকার সম্পদ।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দেখা যায়, আ স ম ফিরোজ এমপির বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৫ হাজার টাকা। তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আয় বেড়েছে তাই ঋণের বোঝা কমে ২৪ কোটি ৫৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকার ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করে এখন ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ব্যাংক ঋণ তার। ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করে এবার এমপি ফিরোজ তার নিজের নামে এফডিআর করেছেন ২ কোটি টাকা এবং স্ত্রীর নামে এফডিআর আছে ৪০ লাখ টাকার। বিনিয়োগ আছে প্রায় ২ কোটি টাকার। তার স্ত্রীও পিছিয়ে নেই বিনিয়োগে। তার রয়েছে প্রায় ৭০ লাখ টাকার বিনিয়োগ।
অর্থমন্ত্রীর চেয়ে স্ত্রীর সম্পদ বেশি : কুমিল্লা : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের চেয়ে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদে এগিয়ে তার স্ত্রী কাশমেরী কামাল। মুস্তফা কামালের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৪১ কোটি ৯০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৬২ কোটি ২৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা। মন্ত্রীর স্থাবর সম্পদের আর্থিক মূল্য ২ কোটি ৩০ লাখ ১৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ রয়েছে ৫ কোটি ৪২ লাখ ৬৪ হাজার টাকার। ২০১৮ সালে কাশমেরী কামালের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪৯ কোটি ১৫ লাখ ১২ হাজার টাকা। তখন স্থাবর সম্পদের মূল্য ছিল ২ কোটি ১৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, মন্ত্রীর হাতে এখন নগদ ২৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা আছে। তার স্ত্রীর আছে ১ কোটি ৭২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীর রয়েছে ৮ কোটি ৪৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা। অন্যদিকে স্ত্রীর রয়েছে ৬২ লাখ ৯৭ হাজার ৬২৭ টাকা। বন্ড, স্টক একচেঞ্জে মন্ত্রীর রয়েছে ৫ কোটি ৪৪ লাখ ২ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর নামে রয়েছে ১১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। অর্থমন্ত্রীর নামে পোস্টাল, সেভিংস, সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ ৬ কোটি ৩১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর রয়েছে ২৫ কোটি ৫১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। মন্ত্রীর নামে ১ কোটি ৬৯ লাখ ২৮ হাজার টাকার গাড়ি, স্ত্রীর নামে ২ কোটি ৩২ লাখ টাকার গাড়ি আছে।
স্থাবর সম্পদেও মন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পদ প্রায় দ্বিগুণ। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রীর নিজ নামে স্থাবর সম্পদ রয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ ১৭ হাজার টাকার। এর মধ্যে কৃষি ও অকৃষি জমি রয়েছে। কাশমেরী কামালের নামে একাধিক প্লট-বাড়িসহ ৫ কোটি ৪২ লাখ ৬৪ হাজার টাকার সম্পদ আছে। এর আগে তিনি বাণিজ্যিক ভবনের আংশিক মালিক থাকলেও পরবর্তীকালে তা দুই মেয়েকে দান করেছেন বলে হলফনামায় জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। হলফনামায় মন্ত্রীর বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে আয় দেখিয়েছেন ৫ লাখ ৭৬ হাজার এবং শেয়ারবাজার ও সঞ্চয়পত্র থেকে ২১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। বাকি টাকা ব্যবসা, এমপি ও মন্ত্রী হিসেবে সম্মানী ভাতাসহ বিভিন্ন আয় থেকে আসে। ২০১৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ৯ কোটি ২ লাখ ১২ হাজার টাকা। তখন তিনি বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকানভাড়া থেকে আয় করতেন ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এবার এই খাতে তার কোনো আয় নেই। ৫ বছর আগেও তিনি শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র থেকে আয় করতেন ১ কোটি ৫৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা। ২০১৪ সালের হলফনামায় মন্ত্রীর বার্ষিক আয় ছিল ২ কোটি ৬৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
তৈমূরের স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৬৬ গুণ : নারায়ণগঞ্জ : ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন তৈমূর আলম খন্দকার। তখন তার দাখিল করা হলফনামা ও এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ দেখা গেছে, গত দুই বছরের ব্যবধানে প্রার্থী তৈমূরের স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষি ও অকৃষি জমির পরিমাণ কমেছে। তবে তৈমূরকে টেক্কা দিয়ে তার স্ত্রী আফরোজা হালিমার সম্পদ বেড়েছে ৬৬ গুণ। প্রার্থী তৈমূরের সম্পদ ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে গত দুই বছরের ব্যবধানে। মেয়র প্রার্থী হিসেবে জমা দেওয়া তৈমূরের হলফনামায় দেখা যায়, তখন হলফনামায় তৈমূর আলম বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বছরে ভাড়া পেতেন ৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। বর্তমানে তিনি বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে বছরে আয় করেন ৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে দুই বছর আগে তার বার্ষিক আয় ছিল ৮ লাখ ২১ হাজার টাকা। বর্তমানে যা ১২ লাখ ১৯ হাজার টাকা। দুই বছর আগে অস্থাবর সম্পদ হিসেবে তৈমূর আলমের নামে নগদ ৫ লাখ টাকা ছিল। তার নিজের নামে ৫ ভরি সোনা, টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, খাট, সোফা দেখানো হয়েছিল। এবারের হলফনামা অনুযায়ী তৈমূরের নগদ ৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকাসহ অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৪৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। তার কাছে থাকা স্বর্ণের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১৬ ভরি। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের যৌথ মালিকানায় থাকা ২০০ শতাংশ কৃষি জমি ও ৩০ শতাংশ অকৃষি জমি দেখানো হলেও এবার তা দেখানো হয়নি। এবার প্রার্থী তৈমূরকে টেক্কা দিয়ে স্ত্রী ফারজানা হালিমার সম্পদ বেড়েছে ৬৬ গুণ। আগের হলফনামায় তৈমূর আলম খন্দকার তার স্ত্রী ফারজানার নামে অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নগদ টাকা দেখিয়েছিলেন ২ লাখ। এবার হালিমা ফারজানার নামে নগদ ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৬০ লাখ টাকা, এফডিআর ২৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকাসহ মোট ১ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে।
শিরীন আখতারের দেড় কোটি টাকার গাড়ি : ফেনী : ফেনী-১ আসনের এমপি ও জাসদের প্রার্থী শিরীন আখতারের দুটি ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। তবে বর্তমানে তার দুটি গাড়ি আছে। যার আর্থিক মূল্য ১ কোটি ৪০ লাখ ৬৫ হাজার ৪০৯ টাকা। হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন, তিনি পেশায় একজন সমাজকর্মী। কৃষি খাত থেকে তিনি বাৎসরিক আয় করেন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত হিসেবে তার জমা আছে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজের নামে ৫২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৩৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামা অনুযায়ী, শিরীন আখতারের উত্তরা ব্যাংকে দুটি খাতে ২১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ঋণ ছিল। পাঁচ বছরের ব্যবধানে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। ২০১৪ সালে ফেনী-১ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হওয়া শিরীন আখতারের নির্বাচনের হলফনামায় ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি উল্লেখ ছিল। পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালে তার সম্পত্তি ছিল ১ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। যা আগের পাঁচ বছরের তুলনায় তিন গুণ বেশি ছিল।
ব্যারিস্টার আনিসের সম্পদ বেড়েছে : চট্টগ্রাম : পাঁচ বছরে বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ২০১৮ সালে তার সম্পদ ছিল প্রায় ২৮ কোটি টাকার, যা বেড়ে এখন হয়েছে প্রায় ৪১ কোটি টাকার। তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বাড়ার হার প্রায় ৩২ শতাংশ। তার হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাপার প্রার্থী। হলফনামা অনুযায়ী, আনিসুল ইসলাম মাহমুদের হাতে এখন নগদ রয়েছে ৪৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা; তার স্ত্রী পারভিন মাহমুদের হাতে নগদ আছে ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার বেশি। শুধু শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে বছরে তার আয় ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এ খাত থেকে তার স্ত্রীর আয় ১ কোটি ৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। জাপা নেতা আনিসুলের অস্থাবর সম্পদও রয়েছে। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ ও শেয়ার রয়েছে তার ১৯ কোটি ৮১ লাখ ১৩ হাজার টাকার। এ খাতে স্ত্রীর রয়েছে ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া ব্যাংকে তার রয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮১ হাজার এবং স্ত্রীর ৪ কোটি ২ লাখ টাকা। বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ি ও মোটরসাইকেল রয়েছে ২ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকার। অন্যান্য খাতে নিজের নামে রয়েছে ৫ কোটি ৯৯ লাখ ৭৯ হাজার ও স্ত্রীর নামে ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
শিমুলের চেয়ে সম্পদে এগিয়ে তার স্ত্রী : নাটোর : নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের এমপি আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুলের তুলনায় বেশি সম্পদের মালিক তার স্ত্রী জান্নাতি সুলতানা সুমি। স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে এমপি শিমুলের সম্পদের মূল্য ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৩১ হাজার টাকা। স্ত্রী সুমির সম্পদের মূল্য ৭ কোটি ৫৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা যায়।
গত ৫ বছরে এমপি শিমুলের আয় ১১ লাখ ২৯ হাজার ১৩২ টাকা কমে হয়েছে ৫৩ লাখ ৩ হাজার ১০৯ টাকা। তবে স্ত্রী সুমির আয় ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা বেড়ে হয়েছে ২৮ লাখ ২৮ হাজার ৩৬০ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় শিমুলের সম্পদের মূল্য ছিল ৩ কোটি ৮২ লাখ ২৮ হাজার টাকা। যা ২০২৩ সালে ১ দশমিক ২০ গুণ বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে নগদ ১ কোটি ৫৬ লাখ ৯ হাজার ৬০০ টাকা। তবে শিমুলের স্ত্রী জান্নাতি সুলতানা সুমির সম্পদ বেড়েছে ৪ গুণের কিছু বেশি। ২০১৮ সালের হলফনামায় সুমির সম্পদ ছিল ১ কোটি ৮৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা। যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৭ কোটি ৫৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
কুজেন্দ্রর আয় বেড়েছে ১৩ গুণ : খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির এমপি আওয়ামী লীগের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার ১০ বছরে আয় বেড়েছে ১৩ গুণ। বার্ষিক লাখ টাকার আয় ছাড়িয়েছে কোটি টাকায়। কিনেছেন শত একর জমি, বেড়েছে ব্যবসা, এফডিআর, স্বর্ণালংকার, গাড়ি ও বাড়ির সংখ্যা। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে হলফনামায় কেবল খাগড়াছড়ি সদর ও দীঘিনালায় সম্পত্তি থাকার কথা উল্লেখ করলেও এবারের হলফনামায় রাঙামাটি ও ঢাকায় সম্পত্তির হিসাব দেখানো হয়েছে। দুবারের এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবারের হলফনামায় অস্থাবর সম্পত্তি ১ কোটি ১৫ লাখ ৫ হাজার টাকা, এফডিআর ১৪ লাখ ১৭ হাজার ৮০০ টাকা দেখিয়েছেন। এমপি ও টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান পদ থেকে আয় দেখিয়েছেন ২৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। এ ছাড়া কৃষি খামারের জন্য ১০৭ একর জমি দেখিয়েছেন। ২০১৪ সালে সেটি ছিল ৭০ একর।
আরো পড়ুন : ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া