ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেডস বলেছে, তারা রবিবার একটি হামলা চালিয়েছে যাতে ইসরায়েলের ২৪ জন সেনা নিহত হয়েছে। ইসরায়েল ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছে, তার সঙ্গে তাদের পরিচালিত অভিযান মিলে গেছে।
গোষ্ঠীটি বলেছে যে, তাদের যোদ্ধারা মধ্য গাজার মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে একটি ভবনে থাকা ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্য করে অ্যান্টি-পার্সোনেল মর্টার শেল ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তু করে। যার ফলে বাড়িটির ভেতরে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সামরিক সরঞ্জামসহ পুরো বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়।
কাসেম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে বলেছে, একই সঙ্গে আমাদের যোদ্ধারা ইয়াসিন-১০৫ শেল দিয়ে মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস করে এবংএকই স্থানে উপস্থিত ইসরায়েলি বাহিনীর একটি মাইনফিল্ড উড়িয়ে দেয়, এতে তাদের সবাই নিহত ও আহত হয়।
ঘটনার পর তাদের যোদ্ধারা নিরাপদে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে মধ্য গাজায় (সেন্ট্রাল গাজা) গতকালের বিস্ফোরণে বিষয়ে নতুন তদন্ত প্রতিবেদন সামনে এনেছেইসরায়েলি বাহিনী। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, হামাস কর্মীরা নিকটবর্তী একটি বাগানে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় একটি ভবনে আরপিজি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
ইসরায়েলি সীমান্ত থেকে প্রায় ৬০০ মিটার দূরে দুটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করার জন্য প্রায় ২০টি মাইন লাগানো হয়। কয়েক ডজন মিটার দূর থেকে হামাস সদস্যরা আরপিজি ফায়ার করলে পুরো ভবন ধসে পড়ে যাতে ১৯ সেনা নিহত হয়। এ সময় পাশে থাকা একটি ট্যাংক হামাস সদস্যের উপস্থিতি টের পায়। কিন্তু ট্যাংক গোলা নিক্ষেপের আগে ট্যাংকে আরেকটি আরপিজে নিক্ষেপ করা হয়। এতে ট্যাংকে থাকা দুইজন সেনা নিহত হয়। সূত্র: আল জাজিরা
আরো পড়ুন : ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ফাঁস হওয়া প্রশ্নে মেডিকেলে ভর্তি ৩০০ শিক্ষার্থী চিহ্নিত