হিরোশিমার চেয়েও তিনগুণ শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

অর্থনীতি আন্তর্জাতিক ক্রাইম নিউজ জনদুর্ভোগ তথ্য-প্রযুক্তি প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি হ্যালোআড্ডা

গত ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম রাশিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাজ্যে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের নথিপত্র যাচাই করে এক প্রতিবেদনে এমনই খবর দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবের অধীনে হিরোশিমায় নিক্ষিপ্ত বোমার চেয়ে তিনগুণ শক্তিশালী ওয়ারহেডগুলো সাফোকের আরএএফ লেকেনহেথে স্থাপন করা হবে। নথিগুলো থেকে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের এই সামরিক ঘাঁটির জন্য নতুন অস্ত্র কেনার আদেশ দিয়েছে পেন্টাগন। এই তালিকায় আছে শত্রুপক্ষের আক্রমণ থেকে সামরিক কর্মীদের রক্ষা করার জন্য ব্যালিস্টিক শিল্ডসহ নতুন বেশ কিছু সরঞ্জাম। আর সেখানে কাজ করা মার্কিন সেনাদের জন্য আগামী জুন মাসে শুরু হবে নতুন আবাসন ব্যবস্থা নির্মাণের কাজ।

আরএএফ লেকেনহেথের কাছে ৫০ কিলোটনের বি৬১-১২ গ্র্যাভিটি বোমা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে- যার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা ১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়েও তিনগুণ বেশি। যুক্তরাজ্যের এই বিমান ঘাঁটির জন্য নতুন অস্ত্র ক্রয়ের চুক্তি প্রকাশ হওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করতে চাইছে।

যুক্তরাজ্যে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু না বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উল্লেখিত স্থানে পারমাণবিক অস্ত্রের উপস্থিতি নিশ্চিত বা অস্বীকার করার ব্যাপারে যুক্তরাজ্য এবং ন্যাটোর একটি দীর্ঘস্থায়ী নীতি রয়েছে।

ন্যাটো বাহিনী এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যকে প্রস্তুত থাকার জন্য সম্প্রতি আটলান্টিকের উভয় প্রান্তের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কাছ থেকেই সতর্কতা এসেছে। এ সপ্তাহের শুরুতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিদায়ী প্রধান জেনারেল স্যার প্যাট্রিক স্যান্ডার্স বলেন, সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ৭৪ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে কমপক্ষে ৪৫ হাজারকে মোতায়েন রাখতে হবে। জনগণকেও যুদ্ধের জন্য ডাকা হবে কারণ, সেনাবাহিনীর আকার বেশ ছোট।

উল্লেখ্য, এর আগে যুক্তরাজ্যের আরএএফ লেকেনহেথে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। মস্কোর পক্ষ থেকে স্নায়ুযুদ্ধের হুমকি কমে যাওয়ায় ২০০৮ সালে সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়।

আরো পড়ুন : গাজা পরিস্থিতি নিয়ে শেখ তামিম-বাইডেনর ফোনালাপ

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *