২০০১ থেকে ২০০৬, বিএনপির ৫ বছরে দেশকে ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে

অনুসন্ধানী অর্থনীতি জনদুর্ভোগ জনপ্রতিনিধি জাতীয় প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি

২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি’র শাসনামলের নিন্দা জানিয়ে ওই পাঁচ বছরকে বাংলাদেশকে ৫০ বছর পিছিয়ে দেওয়ার সময়কাল বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য এবং যোগাযোগপ্রযুক্তি–বিষয়ক (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় এ কথা বলেন।

পোস্টটিতে ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের পাঁচ বছরের হত্যা, নির্যাতন, দখল, দলীয়করণ, দ্রব্যমুল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতি, ব্যাপক লুটপাট, দুর্নীতি ও অর্থপাচার, জঙ্গি উত্থান ও গ্রেনেড হামলার মতো ঘটনার ভিডিও চিত্র তুলে ধরেন তিনি।

পোস্টে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোটের এ ৫ বছরে বাংলাদেশকে ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। এ কথা কি সত্যি নাকি শুধুই রাজনৈতিক বক্তব্য? সে সত্য ঘটনাগুলোই আপনাদের সামনে আসবে এক এক করে। হত্যা, নির্যাতন, দখল, দলীয়করণ, দ্রব্যমুল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতি, ব্যাপক লুটপাট, দুর্নীতি ও অর্থপাচার, জঙ্গি উত্থান, গ্রেনেড হামলার মতো এত ব্যাপক ঘটনা স্বাধীন বাংলাদেশে আর ঘটেনি, যা হয়েছে সেই পাঁচ বছরে।’

একটি ভিডিও শেয়ার করে সজীব ওয়াজেদ জয় লেখেন, ‘নিয়মিতভাবেই আপনাদের সামনে নিয়ে আসব বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের দুঃশাসনের ইতিহাস। সাধারণ মানুষ কতটা নিষ্পেষিত ছিল, তা জানতে পারবেন তাদের মুখেই। চোখ রাখুন আমার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে, আর মন্তব্য করুন কমেন্ট বক্সে।’

এতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের কিছু সাক্ষ্য তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে এক ব্যক্তি বলছেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার পাঁচ বছরে বিএনপি সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সে সরকারের আমলে স্কুলের শিক্ষক নিহত, ছাত্র খুন, সাংবাদিকরা নির্যাতিতসহ সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ে।’

আরেকজন বলেন, ‘আমি তারেককে (খালেদা জিয়ার ছেলে) ৫০টি হোন্ডা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখেছি। এখন তিনি একেবারে নতুন গাড়ির মালিক। এগুলো কোথা থেকে এসেছে? এগুলো এসেছে দুর্নীতির মাধ্যমে।’

অন্য একজন পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, তারেক রহমান অর্থ পাচার করে এশিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন।

পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় আরও বলেন, তারেক রহমান হাওয়া ভবনকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার প্যারালাল কেন্দ্রে পরিণত করে এ ভবনকে ঘুষ, পার্সেন্টেজ দেওয়ার অঘোষিত নিয়মে পরিণত করেছিল। ব্যাপক দলীয়করণ ও সিন্ডিকেট তৈরি করে কৃত্রিমভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে সাধারণ জনগণের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে তারা।

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *