আতিকুর রহমান নগরী : আজ থেকে ১৪৪৩ হিজরি বছর আগে এই দিনে মহানবী (সা.)-এর নেতৃত্বে সাহাবায়ে ক্বেরামের ৩১৩ জনের একটি মুজাহিদ বাহিনী বদর প্রান্তরে উপস্থিত হন। ইসলামের ইতিহাসে যাকে জঙ্গে বদর বা বদর যুদ্ধ নামে অভিহিত করা হয়েছে। ইসলামের ঐতিহাসিক এ যুদ্ধের এই দিবসকে আল্লাহ্পাক পবিত্র কোরআনে ইয়াওমুল ফুরক্বান বলে ঘোষণা করেছেন। মদিনা থেকে প্রায় ষাট মাইল পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রের নাম বদর। তখনকার দিনে পানির প্রাচুর্য থাকায় স্থানটির গুরুত্ব ছিল অত্যধিক। এখানেই তাওহীদ ও কুফুর-শিরকের মধ্যে সর্বপ্রথম সংঘর্ষ ঘটে দ্বিতীয় হিজরির ১৭ই রমজানুল মোবারক মোতাবেক ৬২৪ খৃষ্টাব্দের ১১ই মার্চ, শুক্রবার। ‘আরব জাতির ইতিহাস’- গ্রন্থে বলেন বদরের যুদ্ধ ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম প্রকাশ্য বিজয়। এটা ইসলামের ঐতিহাসিক বিজয় ও মুসলমানগণ হিজবুল্লাহ তথা আল্লাহ্র সৈনিক হওয়ার বাস্তব নিদর্শন ছিল। বদর যুদ্ধের গুরুত্ব মুসলিম উম্মাহ্র আছে এক ঐতিহাসিক গৌরবময় দিন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বীর সেনানি মুসলমানদের নাম শুনলে আবু জেহেল, ওতবা, শাইবাসহ শীর্ষস্থানীয় কাফের গোষ্ঠীর পায়ের নিচে মাটি থাকতো না।
যে মুসলিম জাতির হাতে ছিল গোটা পৃথিবীর শাসন ক্ষমতা। আজ সেই জাতি ইসলামের সঠিক জ্ঞান থেকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করায় দিনদিন অধঃপতন হতে চলেছে। আজকের এই দিনে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে বিশ্বের মজলুম মানুষের মুক্তি চাই। মজলুমানের নাজাত চাই। জালিমদের হেদায়েত চাই। তাকদিরে হেদায়েত না থাকলে তাদের শোচনীয় পতনের জন্য মালিকের দরবারে আরজি পেশ করছি। হে আল্লাহ্! মানবতার মুক্তি দিন। আমিন।
আরো পড়ুন : ‘আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে ঐকমত্যে আসা উচিত’