যশোরে স্ত্রীর পরকীয়ায় জীবন দিতে হলো প্রবাসী সোহেল রানাকে!

ক্রাইম নিউজ জনদুর্ভোগ পুরুষ নির্যাতন প্রচ্ছদ মনোকথা হ্যালোআড্ডা

যশোর ব্যুরো : যশোরে দুবাই প্রবাসী সোহেল রানাকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের কামারবাড়ি নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহেল দেয়াড়া ইউনিয়নের হালসা গ্রামের আব্দুর রউফ বিশ্বাসের ছেলে। তিনি ৫ বছর দুবাই প্রবাসী ছিলেন। দুই মাস আগে দেশে এসেছেন। স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারনা করছেন স্বজনরা।

নিহতের ছোট ভাই শাকিল আহমেদ বলেন, সদরের আলমনগর গ্রামের আলিম হোসেনের মেয়ে খুশির সঙ্গে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় সোহেলের। এই দম্পতির ঘরে দেড় বছর বয়সি একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।

সোহেল স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে দীর্ঘদিন ধরে দুবাইয়ে ছিলেন। মাস দুয়েক হলো তিনি বাড়িতে ফিরেছেন। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার সময় খুশি সঙ্গে তার বাবার বাড়ি এলাকা আলমনগর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে ফারাবির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

দীর্ঘদিনের এই প্রেমের মেলামেশায় বাধা হয়ে দাঁড়ান প্রবাসফেরত স্বামী সোহেল। তাই সোহেলকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলাতে হত্যার ষড়যন্ত্র করে খুশি ও তার প্রেমিক ফারাবি। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বুধবার বিকালে খুশি সোহেলকে তার বাবার বাড়িতে আসতে বলেন।

মোটরসাইকেলযোগে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে কামারবাড়ি নামক স্থানে পৌঁছালে পরকীয়া প্রেমিক ফারারি তার গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকবাসী তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারের হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, হাসপাতালে দেড় বছরের সন্তানকে নিয়ে আহাজারি করতে দেখা যায় স্ত্রী খুশি আক্তারকে। পাশেই নির্বাক চাহনিতে খালার কোলে বসে ছিল দেড় বছর বয়সি মাহির রানা। সবার চোখে মুখে জল গড়ালেও শিশু মাহির বুঝে উঠতে পারেনি তারা বাবা আর নেই এই পৃথিবীতে।

আহাজারি করতে করতে খুশি জানান, তাদের কোন প্রেমের সম্পর্ক নেই। আমার স্বামী হত্যাকারী ফারাবিকে আটক ও ফাঁসি চাই।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল আলম বলেন, বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত করেই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আরো পড়ুন : বঙ্গবাজারের নিঃস্ব ব্যবসায়ীদের খোলা মাঠের চৌকিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *