আন্দোলনের নামে হত্যা-খুন-ষড়যন্ত্রের পদ্ধতি করে বিএনপি

প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি

চাঁদপুর প্রতিনিধি: বিএনপির ঈদ পরবর্তী আন্দোলন সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনের কথা বলে প্রায়শই। কিন্তু তারাতো শিখেছে হত্যা, খুন ও ষড়যন্ত্র। এটাই হচ্ছে তাদের পদ্ধতি। আন্দোলন হচ্ছে গণমানুষের দল, আওয়ামী লীগ বা আমাদের যারা সমমনা দল আছে অথবা যেসব দল মানুষের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জন্ম হয়েছে। সেসব দল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করে।

রোববার বিকালে চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার কদমতলা মন্ত্রীর নিজস্ব বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ আন্দোলন করেছে, আন্দোলনের ফসল হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ভাষার অধিকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পেয়েছি এবং উন্নয়ন পাচ্ছি। আর বিএনপি ও তাদের দোসর জামায়াত, তারা যখন আন্দোলনের কথা বলে তখন জনগণ কিছুটা হলে শঙ্কিতবোধ করে। কারণ তাদের পদ্ধতি হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাস, দেশের সম্পদ ধ্বংস করা, মানুষের জান মালের ওপর হামলা করা। আমরা জানি বাংলাদেশের মানুষ এই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ চায় না। দেশকে অস্থিতিশীল করবার যত অপচেষ্টা তার কোনোটাই মানুষ চায় না।

দীপু মনি বলেন, বিএনপি যতই আন্দোলনের হুমকি দিক না কেন, কখনো কোনো জনবিচ্ছিন্ন দল আন্দোলন করতে পারে না। আন্দোলন করতে হলে জনগণের সক্রিয় ও স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন লাগে। জনগণের সক্রিয় ও স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে। কারণ বাংলাদেশের বর্তমান যে অবস্থান, সেখানে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বেই এসেছে। মানুষ বিশ্বাস করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে এগিয়ে যাবে, সত্যিকারের সোনার বাংলা হবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।

মন্ত্রী বলেন, এখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক যে একটি চাপ রয়েছে, সে চাপের ফলে আমাদের এখানেও হয়ত একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষ, তারা কিছুটা চাপের মধ্যে আছে। কিন্তু আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে খাদ্য উৎপাদন বাড়াচ্ছি। যে কারণে অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় এখনো আমরা একটি স্বস্তিকর জায়গায় আছি। আমাদেরকে সে জায়গা ধরে রাখতে হবে এবং আরও ভালো জায়গায় যেতে হবে। আর সেটা সম্ভব শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মাধ্যমে। অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী দলের মাধ্যমে এটি সম্ভব নয়। যারা হাওয়া ভবন খোয়া ভবন করে তাদের দিয়ে কখনো দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, দেশের যিনি নেতা হন, তিনি যদি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে তাকে দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয় না। আর বিদেশে বসে রিমোট কন্ট্রোলে দল চালানো যারা আছেন, কিংবা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবার জন্য বিদেশে বসে নির্দেশ দেন, ষড়যন্ত্র করেন, তাদেরকে দিয়ে কোনদিন দেশের উন্নতি হবে না। এটি দেশের মানুষ বুঝে এবং জানে। অতএব জনগণের সমর্থন জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে, থাকবে ইনশাআল্লাহ। আগামী নির্বাচনে জনগণের সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনা আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন এটাই আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এক্ষেত্রে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

এ সময় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভুঁইয়া, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাসুদুর রহমান, পুরাণ বাজার কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জহির উদ্দিন মিজিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন : গভীর সাগরে ডাকাতি করতে গিয়ে নিজেরাই লাশ হয়ে তীরে ফিরল

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *