এ সময়ের ব্যস্ত অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম মোশাররফ করিম। বর্তমানে ব্যস্ত আছেন কুরবানি ঈদের নাটকের কাজ নিয়ে। বাংলাদেশের পাশাপাশি কলকাতায় সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন এ অভিনেতা।
* আপনার অভিনীত নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘গোলক ধাঁধা’ থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
** নাটকটি সবে প্রচার শুরু হয়েছে। এতে দর্শকদের ভালোই আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। খুব সুন্দর একটি গল্পের নাটক এটি। নির্মাতা হিসাবে শামীম জামান সব সময়ই চেষ্টা করে ভিন্ন কিছু দিতে। এ ধারবাহিকটিও সে যত্ন নিয়ে পরিচালনা করার চেষ্টা করেছে। আশা করছি সামনের পর্বগুলো দর্শকদের ভালো লাগবে।
* বর্তমানে কী নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
** বেশ কয়েকটি নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছি। সম্প্রতি ‘ভালোবাসা’ নামে একটি একক নাটকের শুটিং শেষ করেছি। এতে জাকিয়া বারী মম কাজ করেছে আমার সঙ্গে। প্রচার চলতি ধারাবাহিক নাটকের শুটিং ব্যস্ততা তো নিয়মিতই। তাছাড়া আগামী কুরবানির ঈদের জন্য একাধিক নাটকের কাজ হাতে এসেছে।
* আপনার অভিনীত নতুন সিনেমার খবর কী?
** নেয়ামূল মুক্তার পরিচালনায় ‘বৈদ্য’ নামে একটি সিনেমার শুটিং করেছি সম্প্রতি। এ সিনেমার কাজ করতে পুরো ইউনিট বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। গল্পটিও বেশ চমৎকার। আশা করছি ভালো কিছু হবে। এছাড়া আরও দুটি সিনেমার কাজ শেষ করেছি। পাশাপাশি নতুন সিনেমার কাজ নিয়েও কথা হচ্ছে।
* মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমাগুলোর অগ্রগতি কী?
** ‘গাঙকুমারী’ ও ‘বিলডাকিনি’ নামে দুটি সিনেমার শুটিং অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এগুলো নির্মাণ করেছেন ফজলুল হক তুহিন। তবে কবে নাগাদ মুক্তি পাবে আমি নিশ্চিত বলতে পারছি না। এছাড়া কলকাতারয় ‘গু-কাকু’ ও ‘হুব্বা’ নামে দুটি সিনেমার কাজও শেষ। এ সিনেমা দুটিও শিগগিরই মুক্তি দেওয়া হবে।
* সিনেমার ব্যস্ততার জন্য কী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দিয়েছেন?
** বিষয়টি এমন নয়। আগেও যে খুব বেশি নাটকে অভিনয় করতাম তা নয়। অভিনয় নিয়মিত করি, তবে সেটি এখন টিভি নাটক, ওটিটি, ওয়েব ফিল্ম নামে হয়তো বলা হয়। বিশেষ দিবসের নাটক করেছি। একক কয়েকটি নাটক আগামীতে প্রচার হবে শুনেছি। কুরবানির ঈদের জন্য নির্মিত কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেছি। সব মাধ্যমের কাজ নিয়েই ব্যস্ত আছি বলা চলে।
* সিরিয়াসধর্মী নাটকের চেয়ে কমেডি ধারায় বেশি দেখা যায় আপনাকে। এটি কি ইচ্ছে করেই?
** আসলে আমি তো একজন অভিনয় শিল্পী, নির্মাতা নই। নির্মাতা আমাকে যা করতে বলবেন সেটিই করার চেষ্টা করি। সব সময় হয়তো নির্মাতার মন মতো কাজ করতে পারি না। তবে চেষ্টা তো থাকেই। আর আরেকটি বিষয়, আমি মনে করি অভিনয় করে যদি একজন দর্শকের মন ভালো করে দিতে পারি তবে আমার মনে হয় আমি কাজ করতে পেরেছি। তবে এটাও সত্যি, অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের কিছু শেখানোও দরকার। কিন্তু তা নাটক বানিয়েই শেখাতে হবে এমন নয়।
* বর্তমানে অনেক নাটক হচ্ছে কিন্তু চরিত্র স্থায়ী হচ্ছে না। এ নিয়ে আপনার
বক্তব্য কী?
** স্থায়ী চরিত্র হচ্ছে না এটা শতভাগ বলা যাবে না। তবে আগের মতো দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না এটা বলা যেতে পারে। এর অনেক কারণ আছে। এর মধ্যে দর্শক কোনটা রেখে কোনটা দেখবেন এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। বিজ্ঞাপনের আধিক্যের কারণে পুরো নাটক দেখা শেষ করতে পারেন কিনা এ নিয়েও প্রশ্ন থাকে। অন্যদিকে নির্মাতাদের আরও যত্নবান হওয়া দরকার। গল্পকারদেরও সচেতন হতে হবে। আমরা তো অভিনয়শিল্পী। আমাদের যে চরিত্র দেয়া হবে তা’ই করার চেষ্টা করি। হয়তো অনেক সময় চরিত্রকে ভাঙ্গার চেষ্টা করি।
* টেলিভিশন ধারাবাহিকের পাশাপাশি এখন ওয়েব সিরিজও নির্মিতি হচ্ছে। দুটোর মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে বলে মনে করেন?
** পার্থক্য নিয়ে ভাবিনি। সবই তো কাজ। টেলিভিশন হোক আর ওয়েব হোক-এগুলো প্রচার মাধ্যম। কাজ তো একই। আমার কাজ অভিনয় করা, অভিনয় করে যাচ্ছি। অভিনয় নিয়েই ভাবতে চাই। পার্থক্য নিয়ে ভাবতে চাই না।
আরো পড়ুন : এমএস ধোনির নেতৃত্বে আবারও ফাইনালে চেন্নাই