চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) একটি হোটেলের খাবার টেবিলে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এই সংঘর্ষে পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে জড়ানো গ্রুপ দুটি হলো সিক্সটি নাইন ও সিএফসি।
বুধবার রাত দশটা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে এই সংঘর্ষ। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের সহায়তায় সংঘর্ষ থামলেও ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত দশটার দিকে চবি ছাত্রলীগের উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের অনুসারী মাহফুজ আল মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা হোটেলে খেতে যান। এসময় বসার সিট নিয়ে সিএফসি গ্রুপের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার পর সিএফসির কর্মীরা শাহ আমানত হল ও সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। এক পর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপের মাধ্যমে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার অধিক সময় ধরে চলে ইট পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ।
এই সংঘর্ষে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা মাহফুজ আল মামুন ও সিএফসি গ্রুপের পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা চবি মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ছিলেন ডা. টিপু সুলতান। আহতদের বিষয়ে জানতে তাকে ফোন করলে তিনি কল রিসিভ করেননি। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার ও দুইজন সহকারী প্রক্টরকেও এ বিষয়ে জানতে ফোন করলে তারাও সাড়া দেননি।
চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, একজন নেতা ও কিছু জুনিয়র কর্মীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
সিএফসি গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মির্জা খবির সাদাফ বলেন, ঢাকা হোটেলে দুই গ্রুপের কিছু নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এই ঘটনা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। সিএফসি গ্রুপের পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরো পড়ুন : গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন আজমত উল্লা