সারাদেশে গত মে মাসে মোট ৪৯৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৮ জন নিহত ও ৭৬৯ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৮৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৮১ জন নিহত ও ১১৪ জন আহত হয়েছেন, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, নিহতের ৩৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ ও আহতের ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশ।
বুধবার প্রকাশিত বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবেদনের সারমর্ম জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত দুর্ঘটনার সংবাদ পর্যবেক্ষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসে রেলপথে ৫০টি দুর্ঘটনায় ৪৩ জন নিহত এবং ৭ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং আহত ৮ এবং ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৫৬৪টি দুর্ঘটনায় ৫২৭ জন নিহত এবং ৭৭৯ জন আহত হয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, মে মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ১২১টি দুর্ঘটনায় ১১০ জন নিহত ও ১৫১ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে। এখানে ২৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ও ৬২ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট দুর্ঘটনার ২৬ দশমিক ৮১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়া সারাদেশে মে মাসে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১ দশমিক ৪১ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১ দশমিক ৪১ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে হয়েছে।
প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়। সেগুলো হলো– ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও যাত্রীদের অসতর্কতা, দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল এবং বেপরোয়া গতি, ব্যাটারিচালিত ও ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি, মহাসড়কে রোড সাইন ও সড়কে বাতি না থাকা, মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টো পথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ইত্যাদি।
আরো পড়ুন : ঝালকাঠিতে প্রায় উননব্বই হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল