স্টাফ রিপোর্টার : জামায়াতের সঙ্গে সরকারের বৈঠকের খবর চাউর হয়ে আছে ক’দিন থেকে। রাজনৈতিক একাধিক সূত্রের দাবি, এই বৈঠকের ফসল হচ্ছে সাম্প্রতিক জামায়াতের তৎপরতা। ১০ বছর পর প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এই সমাবেশ ঘিরে বেশ নাটকীয়তা ছিল লক্ষণীয়। আগে সমাবেশ করার অনুমতি নিতে যাওয়ায় ঢাকা মহানগর পুলিশ দপ্তরের ফটক থেকে আটক করা হয়েছিল নেতাদের। পরে অবশ্য তারা ছাড়া পান। দ্বিতীয় দফায় তারা নির্বিঘ্নে ডিএমপিতে গিয়ে আবেদন করেন এবং একপর্যায়ে সমাবেশের অনুমতিও পেয়ে যান।
নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে আছে। অফিসে তালা ঝুলছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে। খবর রয়েছে, জামায়াতের একজন বর্তমান শীর্ষ নেতার সঙ্গে সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে তাদের বলা হয়েছে, আপনাদের দলের তো অনেক জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আপনারা ইচ্ছা করলে নির্বাচনে যেতে পারেন। কেন যেন মনে হয় ২০/২৫ টি সিট পেয়েও যেতে পারেন। এই শীর্ষ নেতা দলের সমপর্যায়ের আরও কয়েকজন নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনাও করেছেন। এই খবর জানাজানি হওয়ায় দলটির অভ্যন্তরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এছাড়া, এ বৈঠক জাতীয় পার্টির মধ্যেও প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।
স্মরণ করা যায় যে, এরশাদের জমানায় ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতও অংশ নিয়েছিল। ১৯৯৬ সালেও জামায়াত বিএনপি’র সঙ্গ ত্যাগ করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেয়।
আরো পড়ুন : আজ সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন