স্টাফ রিপোর্টার: সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যের প্রবাসীদের ভোটার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সোমবার অনুষ্ঠেয় কমিশন সভায় এ খসড়া আইন অনুমোদনের জন্য তোলা হয় এবং কমিশনের অনুমোদন পায়।
প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) আবেদন নিষ্পত্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা বা নীতিমালা কি হবে, সে বিষয়েও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, প্রবাসী নাগরিকদের এনআইডি দেয়ার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে এটা নিয়ে কাজ শুরু হবে। প্রবাসের দু’টো দেশের কাজ ভোটের আগে হবে।
ইসি সচিব বলেন, ৮৩ সালের অর্ডিন্যান্স বাংলায় রুপান্তর করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আজ অনুমোদিত হয়েছে। ভেটিংয়ের পর সংসদে যাবে। বিধিমালা সংশোধনের ক্ষেত্রে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুতের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে। তফসিলের ৯ লাখ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদসহ অন্যান্য নির্বাচনের প্রশিক্ষণসূচি অনুমোদন হয়েছে। প্রশিক্ষণ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে। তফসিলের পর মোটা দাগে হবে নয় লাখের ওপর। আগের চেয়ে বাড়বে।
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে যখন যে নির্বাচন হবে তখন যারা দায়িত্বে থাকবেন তারা আপ্যায়ন ভাতা পাবেন। অনলাইনে মনোনয়নপত্র বাধ্যতামূলক হবে না, তবে আমরা উৎসাহিত করবো।
তিনি আরও বলেন, আপিল বিভাগের বিচারপতিরা যে সুযোগ সুবিধা পাবেন সিইসি সেই সুবিধা পাবেন এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা যে সুযোগ সুবিধা পাবেন নির্বাচন কমিশনাররা সেই সুবিধা পাবেন।
আরো পড়ুন : ৪ বছর আগে নির্মিত ৭ কোটি টাকার সেতুতে উঠতে হয় বাঁশের মই দিয়ে