গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে তিনমাস বয়সি পুুুত্র সন্তানের পিতৃ পরিচয় এবং নিজের অধিকার আদায়ের লড়ায়ে জয়লাভ করেছেন বুলবুলি খাতুন (২২)। এ লাড়ায়ে তার সন্তান পেয়েছে পিতৃ পরিচয় আর নিজে পেয়েছে স্ত্রীর অধিকার। তার অধিকার আদায়ের লড়ায়ে সহায়তায়কারী প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীরাও বেশ খুশী।
স্থানীয়রা জানান উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের রহলা কুঠিবাড়ী গ্রামের মজনু মিয়ার কন্যা বুলবুলি খাতুন তার পিতার বাড়ীতে অবস্থানকালে একই ইউনিয়নের ছোট দুর্গাপুর গ্রামের খাজা মিয়ার পুত্র আতাউর রহমান তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়া সহ নানা ভাবে উত্যাক্ত করতো । এর এক পর্যায়ে ২০২২ সালে ২৫ জুলাই বাড়ীতে কেউ না থাকার সুয়োগে রাত ১১টার দিকে জোড় পুর্বক ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণ করে। এ সময় সে কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে বিয়ের আশ্বাস দেয়। এ ঘটনায় বুলবুলি অন্ত:সত্বা হয়ে পড়ায় আতাউর কে বিয়ের চাপ দিতে থাকে। সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর তাকে বিয়ে করবে বলে জানায় আতাউর। কিন্তু সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পরেও ধর্ষক আতাউর বিয়ে না করে নানা ধরণেরে টালবাহানা ও হুমকী ধামকি দিতে থাকে। বাধ্য হয়ে বুলবুলি গত ১১ জুলাই আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার পর গাইবান্ধা পিবিআই বিষয়টি তদন্ত শুরু করলে আতাউর মামলার মিমাংসার প্রস্তাব সহ বুলবুলিকে বিয়ে ও তার তিনমাসের সন্তানকে পিতার স্বীকৃতি দেয়ার কথা জানায়। এর প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) উভয় পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে বেশ আনন্দঘন পরিবেশে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের আসরে বুলবুলির কোলে তার সন্তান ছিল। এদিকে এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে বিয়ের মাধ্যমে বুলবুলি স্ত্রী ও তার সন্তান পিতৃপরিচয় নিশ্চিত হওয়ায় খুশী এলাকাবাসী।
এলাকার প্রাণী চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন হারেজ জানান, বুলবুলি একটি গরীব পরিবারের মেয়ে। তার মামলার নিস্পত্তি হওয়ায় এলাকাবাসী হিসেবে সবাই খুশী। এ ধরণের কথা ব্য্যক্ত করেছে বুলবুলির অভিভাবকরা । তারা বলেন নতুন দম্পতি সন্তান সহ সুখে শান্তিতে থাকলেই ভাল।
ফারুক হোসেন
গাইবান্ধা।
আরো পড়ুন : আওয়ামী লীগের বৃহত্তর রাজনৈতিক ভূমিকায় দেখা যেতে পারে পুতুলেকে