সিলেট অফিস: সিলেটের জৈন্তাপুরে অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ার সময় প্রবাসী স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন প্রবাসীর স্ত্রী জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকার মো. আব্দুল্লাহর মেয়ে মনিরা বেগম (২২) ও কথিত প্রেমিক একই এলাকার মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে ফেরদৌস রহমান চৌধুরী (২৫)। গতকাল শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে জৈন্তাপুর উপজেলার ঘাটের চটি গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মিনহাজ উদ্দিন (৩১) এর বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, এঘটনায় আহত প্রবাসী মিনহাজ উদ্দিন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রবাসীর বাবা নূর মিয়া বাদি হয়ে শুক্রবার দুপুরে দুজনকে আসামি করে জৈন্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। তাদেরকে আজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রবাসী মিনহাজ উদ্দিন কুয়েত থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী মনিরা বেগম অধিকাংশ সময় বাবার বাড়িতে থাকতেন। সেখানে ফেরদৌস নামে এক যুবকের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন প্রবাসীর স্ত্রী। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিজেদের কক্ষে ঘুমাতে যান স্বামী-স্ত্রী। একপর্যায়ে পরকীয়া প্রেমিক ফেরদৌস রহমান চৌধুরী দরজায় নক করলে স্বামীকে বিছানায় রেখে অন্য কক্ষের দরজা খুলে দেন মনিরা বেগম। পরে তারা সেই কক্ষেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে স্বামী জেগে ওঠে তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেললে দু’জন মিনহাজ উদ্দিনের উপর চড়াও হয়। এসময় তারা দু’জনে মিলে মিনহাজ উদ্দিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। শুরু হয় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। এ সময় পাশের ঘরে থাকা তার ভাই ও বাবা শব্দ শুনে এগিয়ে এসে মিনহাজ উদ্দিনকে উদ্ধার করেন এবং কথিত প্রেমিক সহ স্ত্রীকে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে আটক করে থানা নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় প্রবাসীর বাবা নূর মিয়া বাদি হয়ে শুক্রবার দুপুরে দু’জনকে আসামি করে জৈন্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
নূর মিয়া বলেন, মাসখানেক আগে আমার ছেলে মিনহাজ উদ্দিন প্রবাস থেকে দেশে আসলে স্ত্রীর চালচলন দেখে তাঁর কিছুটা সন্দেহ হয়। কিন্তু এত বড় কান্ড করবে আমরা কল্পনা করতে পারিনি। আল্লাহ আমার ছেলেকে বাঁচিয়েছেন।
কাওছার আহমদ
আরো পড়ুন : যেভাবে শুক্রবার আমল ও ফজিলতের দিন