সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫–এর বিরোধী আখ্যা দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির জাতীয় পরিষদের (পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ) ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। এর পরপরই জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্টকে সুপারিশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। খবর ডনের।
স্থানীয় সময় আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় আলোচিত এই অধিবেশন শুরু হয়। স্পিকার আসাদ কায়সারের বিরুদ্ধে হঠাৎ বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলে অধিবেশনটির সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি স্পিকার।
এর আগে অনাস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার আত্মবিশ্বাস নিয়েই অধিবশনে অংশ নেন বিরোধী আইনপ্রণেতারা। অনাস্থা ভোটে ৩৪২ আসনের জাতীয় পরিষদে ১৭২ ভোট প্রয়োজন ছিল বিরোধীদের। পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজের (পিএমএল–এন) নেত্রী ও দলটির মুখপাত্র মারিয়াম আওরঙ্গজেবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অনাস্থা প্রস্তাবে ১৭৪ আইনপ্রণেতার সমর্থন ছিল।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫–এ বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের আনুগত্য করা প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক দায়িত্ব। সংবিধান এবং আইনের প্রতি আনুগত্য প্রত্যেক নাগরিকের জন্য অলঙ্গনীয়ভাবে বাধ্যতামূলক, তিনি যেখানেই থাকুন কেন এবং পাকিস্তানে অবস্থান করার সময় প্রত্যেকের জন্যই তা প্রযোজ্য।
স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার পরপরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিতে তিনি প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে পরামর্শ দিয়েছেন।
অনাস্থা প্রস্তাব নাকচ হওয়ায় ইমরান খান জাতিকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রে সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছেন’ ডেপুটি স্পিকার।
অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে ইমরান খানের জোট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলো। একপর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ এক শরিক বিরোধী শিবিরে যোগ দিলে জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় সরকার। এককভাবে জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) আইনপ্রণেতার সংখ্যা ১৫৫ জন। সরকার গঠনে প্রয়োজন ১৭২ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন।
আরো পড়ুন: দেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে টিপ পরা যাবে না