নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী। তবে পাশের দেশসহ এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। এটি উদ্বেগজনক। এখন থেকেই সতর্ক না হলে বাংলাদেশেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। কোভিড–১৯–সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভায় এ কথা বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে কমিটির ৫৭তম সভা হয়।
দেশে গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। করোনায় আগের তিন দিনও ছিল মৃত্যুশূন্য। সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৫৫৬ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৪৬০ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১২৭ জনের।
জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ক্ষেত্রে শতভাগ মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের সুপারিশ করা হয়। সচেতনতা তৈরির জন্য প্রচার বাড়ানোরও সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভায় বলা হয়, যেসব দেশে সংক্রমণের হার বেশি সেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে টিকা দেওয়া থাকলেও কোভিড নেগেটিভ সনদ নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া সব বন্দরের প্রবেশপথে স্ক্রিনিং জোরদারের পরামর্শ দেওয়া হয় সভায়।
সভায় আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজার ও কেনাকাটা এবং ঘরমুখী মানুষের যাতায়াতের সময় মাস্ক পরা নিশ্চিতের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া তারাবিহর নামাজ ও ঈদের জামাতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
করোনা মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করার জন্য হাসপাতালগুলোকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়।
গতকাল রাতের সভায় সভাপতিত্ব করেন কোভিড-১৯–সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
আরো পড়ুন : বিশ্বজুড়ে রেকর্ড পরিমান বৃদ্ধি করেছে সামরিক ব্যয়