কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বহিরাগতরা। এতে কমপক্ষে ১২ জন ছাত্র আহত হন। সহিংসতা এড়াতে কর্তৃপক্ষ পলিটেকনিকের ছাত্রছাত্রীদের তিনটি আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আধিপত্য বিস্তার করতে কুষ্টিয়া পলিটেকনিকের সাবেক ছাত্রনেতা রবিউল আওয়াল ওরফে আনাস পারভেজের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। এই হামলার পেছনে মীর মোশাররফ হোসেন হলের কিছু ছাত্রের উসকানি রয়েছে বলেও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।
পুলিশ ও ছাত্ররা জানান, গতকাল দুপুর একটার দিকে ৫০/৬০ জন বহিরাগত দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে লালন শাহ আবাসিক হলে অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এসময় ছাত্ররা বাধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের বেদম পেটাতে থাকে। এতে হলের ১২ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এদের মধ্যে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছাত্র আব্দুল্লাহ হুসাইনের শরীরে আটটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
হামলা চলাকালে দুর্বৃত্তরা হলের আসবাবপত্র ভাঙচুর, ছাত্রদের দুটি ল্যাপটপ ভাঙচুরসহ বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেয়। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা প্রাণভয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। প্রায় ৩০/৪০ মিনিট হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তরা নির্বিঘ্নে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দুপুরে একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় লালন শাহ ও মীর মোশাররফ হোসেন ছাত্র হল এবং রাবেয়া বশরী ছাত্রী হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি থমথমে। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে অধ্যক্ষ মনির হোসেন জানান।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম জানান, পলিটেকনিকে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কেউ যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য সতর্ক রয়েছে পুলিশ।
আরো পড়ুন : মিরসরাইয়ে পর্যটকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় ঘটছে প্রাণহানি