সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার মুসলিমপ্রধান দেশসহ বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন। ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান এবং ভারতসহ এশিয়ার বেশিরভাগ অংশ রবিবার ঈদুল আজহা পালন করবে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যা উল্লিখিত তিনটি দেশেই।
মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিনে পবিত্র আল আকসা মসজিদে পশ্চিম তীরের মুসল্লিরা পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, কুয়েত, মিসর ও জর্ডানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর এবার প্রথম অনেকটা বিধিনিষেধমুক্ত পরিবেশে উন্মুক্ত স্থানে খুতবা ও জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঈদ একটি আনন্দের উপলক্ষ যার মধ্যে বিশেষ খাদ্য একটি অপরিহার্য বিষয়। ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য এবার মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অনেকাংশ জুড়ে সমস্যা সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলেছেন, তারা এবার কুরবানির পশু কেনার অর্থের সংস্থান করতে পারেননি।
আফগানিস্তানে ঈদের আগে সাধারণত পশুর হাটে বেশ ভিড় থাকে। কিন্তু এই বছর তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতির কারণে উৎসবের বিশেষ আয়োজন ছিল অনেকেরই নাগালের বাইরে। উত্তর আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরীফের একটি পশুর হাটে মোহাম্মদ নাদির বলেন, ‘সবাই আল্লাহর নামে একটি পশু কোরবানি করতে চায়, কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে প্রত্যেকে তা করতে পারে না। ’
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল-শাতি শরণার্থী শিবির, লিবিয়ার যুদ্ধকবলিত ত্রিপোলিতেও দ্রব্যমূল্য ও সহিংসতা মানুষকে কষ্ট দিয়েছে। তবে জমকালো উৎসব হোক বা না হোক, মুসলিমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেছেন। করোনাভাইরাস-সম্পর্কিত বিধিনিষেধের পরে বিশ্বের বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি স্বস্তি যুগিয়েছে। কেনিয়া থেকে রাশিয়া এবং সেখান থেকে মিশর পর্যন্ত বিশ্বের দেশে দেশে মুসলিমরা কাতারবন্দি হয়ে প্রার্থনা করেছেন সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে।
‘এত লোককে ঈদের নামাজে দেখে আমার খুব খুশি লাগছে’, বলেন কায়রোর হাস্যোজ্জ্বল অধিবাসী সাহার মোহাম্মদ। সূত্র: আল-জাজিরা