প্রাথমিকের শিক্ষক বদলীতে শিক্ষা অফিসের উদাসীনতা

অনুসন্ধানী জনদুর্ভোগ তথ্য-প্রযুক্তি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচ্ছদ শিক্ষা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে বদলির ক্ষেত্রে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে আবেদনের প্রেক্ষিতে আবেদনকারীদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে বদলির অনুমোদিত আদেশ সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অনুমোদিত আদেশ সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় একাধিক ক্লাস্টারে শূন্য পদের বিপরীতে আগ্রহীরা তাদের আবেদন অনলাইনে দাখিল করেন। সেখানে প্রতিটি শূন্য পদে একাধিক সহকারী শিক্ষক তার প্রাপ্যতার কাগজপত্র সংযুক্ত করেন। কিন্তু বদলি অনুমোদিত হওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা বিভ্রাট প্রকাশ পায়।

এক্ষেত্রে ফুলবাড়ী ইউপির বামনকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অরেঞ্জ দ্বীপ নাহার তার নিকটতম শিবপুর ইউপির কামারের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আবেদন করেন। একই প্রতিষ্ঠানে কোচাশহর ইউপির ধারাইকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামীমা সরকার এবং রাখালবুরুজ ২নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এ টি এম ছামছুজ্জোহা সরকার আবেদন করেন। এর মধ্যে নীতিমালার আলোকে জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা শামীমা আকতার; যার যোগদান তারিখ ২০০৬ সালে ১৩ এপ্রিল; প্রতিষ্ঠান দুটির দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার; পছন্দের প্রতিষ্ঠানটি তার স্বামীর বাড়ি সংলগ্ন। অপরদিকে এটিএম ছামছুজ্জোহা সরকারের যোগদানের তারিখ ২০০৬ সালের ১৭ এপ্রিল; দুটি প্রতিষ্ঠানের মাঝে দূরত্ব প্রায় ১১ কিলোমিটার এবং নিজ এলাকায়। অপরদিকে অরেঞ্জ দ্বীপ নাহারের যোগাদানের তারিখ ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল; দুটি প্রতিষ্ঠানের মাঝে দূরত্ব ৩ কিলোমিটার এবং স্বামীর বাড়ি সংলগ্ন।

অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে বিধিমালার আলোকে কামারের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলীর অনুমোদন পাওয়ার কথা শামীমা আক্তারের। সেক্ষেত্রে বিদ্যালয়টিতে বদলীর অনুমোদন পান অরেঞ্জ দ্বীপ নাহার। যেখানে কামারের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির অবস্থান দেখানো হয়েছে ১৩ নম্বর কামারদহ ইউনিয়নে। প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানটি শিবপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা জানান, অনুমোদিত বদলির কাগজ আমরা এখনও পাইনি। এছাড়া বদলির বিষয়টিতে আমরা সম্পৃক্ত নই।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি। প্রথমবারের মত অনলাইন আবেদনের ভিত্তিতে এমন প্রক্রিয়ায় বিভ্রাট থাকলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ফারুক হোসেন
গাইবান্ধা

আরো পড়ুন : ৭ নভেম্বর ২০২২, সোমবার চ্যানেল আইতে দেখবেন

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *