স্বামী কর্তৃক স্ত্রী নির্যাতিত, থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ

ক্রাইম নিউজ নারী নারী নির্যাতন প্রচ্ছদ

আরিফুজ্জামান আরিফ ঠাকুরগাঁও : যৌতুকের জন্য ও পরকিয়ায় বাধা দেওয়ার কারণে স্ত্রীকে নির্যাতন, পুলিশ মামলা না নেওয়ার অভিযোগ ও স্বামীর বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী স্ত্রী আফরোজা বেগম।

শনিবার দুপুর তিনটায় সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের ছোট খোঁচাবাড়ি ভুক্তভোগী গৃহবধুর বাবার বাসায় তার পরিবারের সকলকে নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

ভুক্তভোগী গৃহবধু আফরোজার পিতা ইব্রাহীম, মা ও ভাই তারাও এসব অভিযোগ তুলেন। এসময় এলাকার প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনেরা উপস্থিত ছিল ও এর একটি সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানান।

ভুক্তভোগী আফরোজা তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, একই উপজেলা ও একই এলাকার পার্শ্ববর্তী গ্রাম মাষ্টারপাড়া এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে মোকসেদুর রহমান (৩২) এর সাথে পারিবারিক ভাবে গত ০১/০২/২০২০ সালে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আমার স্বামী যৌতুকের দাবিতে সহ নানা কারণে আমার উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো। কিন্তু সংসারে শান্তির জন্য এবং সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য আমি মুখ বুঝে সব সহ্য করতাম। শুধু তাই নয় তিন টা ভ্রুণ নষ্ট করেছে আমার অসুস্থতার ওষুধ খাওয়ায়। এসব বিষয় আমার পরিবারকে জানালে দিন দিন আমার স্বামী ও তার পরিবার অত্যাচারের মাত্রা বাড়াতেই থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮/১২/২২ ইং তারিখে মোকসেদুল ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে বিনা কারণে মারপিট ও জখম করে। এর পরে আমি বিষয়টি আমার পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা এসে আমার স্বামী কে বোঝানোর চেষ্টা করে। তখন আমার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন আমার ভাই ও অন্যদের অপমান ও মারপিট করে। পরে এলাকার লোকজন আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তিন দিন চিকিৎসা নেওয়ার পরে আমি ও আমার পরিবার বিষয়টি থানায় ও কোর্টে পৃথকভাবে অভিযোগ করতে গেলেও পুলিশ ও কোর্ট কোথাও আমাদের মামলা নেয়নি। তাই সাংবাদিকদের দারস্থ হয়েছি।
আমি স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের সঠিক বিচার চাই। সেই সাথে আইনি সহযোগিতা ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি চাই।

ভুক্তভোগী গৃহবধুর পিতা বলেন, তিন বছর হয়েছে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। ২ বছর থেকে শুধু সমস্যা লেগেই আছে। এত টাকা দিচ্ছি তাও জামাই আমার মেয়েকে মারধর করতেছে। এখন এমন অবস্থা যে আমার মেয়েকে তারা মেরে ফেলতে চাচ্ছে। পরে আমরা মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এখন জামাই এর বিরুদ্ধে মামলা দিলে থানা মামলা নিচ্ছে না। আমার জামাই জজ এর ড্রাইভার সেজন্য থানা মামলা নেয় না। আমি এর একটা সুষ্ঠ বিচার চাই। আমরা গরিব বলে কি কোন আইনি সুবিধা পাবো না।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, আফরোজা নামে একজন থানায় মামলা দিতে এসেছিল, আমি তাদের আদালতে মামলা করতে বলেছিলাম। থানায় মামলা না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ফোনে বেশি তথ্য দিবেন না বলে ফোন কেটে দেন।

আরো পড়ুন : দিনাজপুরে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে হুইপ ইকবালুর রহিম

 

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *