পাঁচ সন্তান হারিয়ে ভূমিকম্পে ধসে যাওয়া ভবনের পাশে সিরীয় বাবার আকুতি

আন্তর্জাতিক জনদুর্ভোগ প্রচ্ছদ মনোকথা লাইফ স্টাইল হ্যালোআড্ডা

পাঁচ সন্তান হারিয়ে ভূমিকম্পে ধসে যাওয়া ভবনের পাশে বেদনায় কাতরাচ্ছেন সিরিয়ার নাসের আকার। সিরিয়ার জান্দারিস শহরে ছিল তার বাড়িটি। এখন আছে শুধু ধ্বংসাবশেষ।

আরো পড়ুন : তুরস্ক ও সিরিয়ায় ত্রাণ দিতে রাজনৈতিক কৌশল বিবেচনা করছে পশ্চিমা বিশ্ব

বছরের পর বছর সিরিয়া যুদ্ধের গোলাবর্ষণ, বোমা, বিমান আর রকেট হামলার কবল থেকে সন্তানদের রক্ষা করেছেন নাসের আল ওয়াকার। তবে তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্প থেকে আর রক্ষা হলো না তার ৬ সন্তানের পাঁচজনের। খবর এনডিটিভির।

আরো পড়ুন : মৃত্যু সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়ালো তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে 

ধ্বংসস্তূপের পাশে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন নাসের আকার। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমরা কত শত বিমান হামলার শিকার হয়েছি। কত রকেট হামলার শিকার হয়েছি। বোমায় উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সব। লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া হয়েছে ভিটেমাটি। তবে ভূমিকম্প সৃষ্টিকর্তার দেওয়া। এর থেকে আর রক্ষা হলো না।

আরো পড়ুন : মৃত্যুর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াল তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে

সোমবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ে বাড়িটি। নাসের বলেন, ভূমিকম্পের সময় সবাই দৌড়ে বাড়ি থেকে বাহিরে চলে এসেছি। কিন্তু ওরা আসতে পারেনি। হে সৃষ্টিকর্তা! আমার একটি সন্তান যেন বেঁচে থাকে।

আরো পড়ুন : ভূমিকম্পের পর প্রচণ্ড ঠান্ডা আর ক্ষুধা এখন তুরস্কের নতুন বিপদ

তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রাণহানির সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর বেশিরভাগই তুরস্কের নাগরিক। আর সিরিয়ার মারা গেছেন ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ।

আরো পড়ুন : তুরস্কে ভূমিকম্পের ৫৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার মায়ের দুধে বেঁচে থাকা ১৮ মাসের মাশাল

নাসের আকারের মতো জান্দারিস শহরে এমন শত শত বাড়ি ভেঙে পড়েছে। নাসেরের মতো সন্তান হারিয়ে নিঃসন্তান হয়েছেন অনেক মা-বাবা। মা-বাবা হারিয়ে এতিম হয়েছেন অনেকেই।

আরো পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটার হলেন উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত ছয় এমপি

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *