নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বরগুনার বামনা উপজেলার পূর্ব সফিপুর গ্রামের আ. ছালাম নাজীর এর ভবন নির্মানে প্রতিপক্ষ কর্তৃক আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও নির্মান কাজ চলমান রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় প্রতিপক্ষ মো. মনজুল ইসলাম জমাদ্দার বুধবার(১ মার্চ) সকাল ১১টায় বামনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্মান কাজ বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাব সভাপতি মো. নেছার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নাসির মোল্লাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক বৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে মো. মনজুল ইসলাম জমাদ্দার এর লিখিত বক্তব্য পাঠ থেকে জানা গেছে, পূর্ব সফিপুর মৌজার এস.এ খতিয়ান ৫০২ ও ৩৪০ এর ১২২৪ ও ১২২৫ নং দাগে প্রতিবেশী আ. ছালাম নাজির ভবন নির্মান কাজ শুরু করে। ওই দাগে মনজুরুল ইসলাম জমাদ্দারের নামে সাব কবলা জমি থাকায় এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে শালিশী ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিপক্ষ কোন শালিশী না মেনে সেখানে জোড় পূর্বক ভবন নির্মান কাজ শুরু করে। পরে এ ঘটনায় ২০২০ সালে বরগুনা কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় আদালত জমিতে ভবন নির্মানের একটি স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। পরে র্দীঘ দিন উভয় পক্ষের নির্মান কাজ বন্ধ থাকার পরে প্রতিপক্ষ ছালাম নাজির রিভিশন মামলা করেন জেলা দায়রা জজ কোর্টে। সেই মামলায় গত ২ ফেব্রুয়ারী বিচারক তাদের ভবন নির্মান কাজ চালিয়ে যাওয়ার আদেশ দেন। ওই আদেশ এর বিরুদ্ধে ১৯ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করলে শুনানী শেষে বিচারক মো. জাকির হোসাইন পুনরায় ওই ভবন নির্মান কাজে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাদীপক্ষ ২৮ ফেব্রুয়ারী বামনা থানায় প্রদান করেছে এবং বিবাদী পক্ষকে অবহিত করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ওই নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রতিপক্ষকে দেখানোর পরেও আদালতের রায় না মেনে জোর পূর্বক তারা ভবন নির্মান কাজ চলমান রাখে। এ ঘটনায় বুধবার বামনা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু প্রতিপক্ষ কারো কথা না শুনে তারা ভবন নির্মান চালিয়ে যায়। উল্টো মামলার অন্য আসামী ধলু নাজির ও বাচ্চু নাজির তাদের ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুমকী প্রদর্শন করে আসছে। কোন উপায় না পেয়ে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিকার দাবী করেন মো. মনজুল ইসলাম জমাদ্দার।
এঘটনায় প্রতিপক্ষ বিবাদী রায়হান নাজির ধলু জানান, মানজুর ইসলাম জমাদ্দার গং দের নিষেধাজ্ঞা গত ২ ফেব্রুয়ারী আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে আমরা কাজ শুরু করি। বাদি পক্ষের দাবী তারা আদালতের মাধ্যমে পুনরায় স্থগিতাদেশ এনেছেন। কিন্তু আমরা সে কাগজ এখনো হাতে পাইনি।
আরো পড়ুন : টিনের বেড়ায় ঝোলানো প্লাস্টিকের ব্যাগে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ