কৃষি সমৃদ্ধিতে ক্রপ জোনিং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক

কৃষি জাতীয় প্রচ্ছদ মুক্তমত হ্যালোআড্ডা

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: কৃষি সমৃদ্ধিতে ক্রপ জোনিং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ফসল নির্বাচন করে আবাদ করা হলে অধিক ফলন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে ক্রপ জোনিং প্রকল্পের খামারি মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাইকালে কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার এ কথা বলেন। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ হবে স্মার্ট দেশ। প্রত্যেককে প্রস্তুতি নিতে হবে,সেইসাথে কৃষকরা প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরেজমিনে মাঠে এসে খামারি অ্যাপসটি কিভাবে কাজ করে সেটি দেখলাম। খামারি অ্যাপসটি হচ্ছে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ২০২১ সালে ৪ ফেব্রুয়ারী বলেছিলেন ক্রপ জোনিং এর মাধ্যমে এটা ম্যাপিং করতে হবে। সে নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কৃষি গবেষণা কাউন্সিলকে বলেছিলাম তাঁরা কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বেশ কয়েকবছর ধরে ক্রপ জোনিং অ্যাপসটি তৈরি করেছে। র‌্যানডম ব্যাসিকে কৃষকের জমিটা বেছে নিয়েছি। এই জমিতে এসে খামারি অ্যাপসের আইকনে আমরা প্রথমে ক্লিক করলাম। তারপর অপশন চলে আসলো যে আমি কি জানতে চাই,কোথায় আছি। বললাম রাজশাহী ডিভিশনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় গোমস্তাপুর উপজেলায়। ক্লিক করে করে আমরা এগুচ্ছি। তারপর আমি যেখানে অবস্থান করছি স্যাটেলাইট অ্যাপসের মাধ্যমে সেটা দেখছে। দেখে বললাম যে আমরা গোমস্তাপুর উপজেলার এ-ই জমিতে কিকি ফসল হতে পারে। আমিতো গম ফসলের মধ্যে দাড়িয়ে ছিলাম। তখন সে বলল গম বারি ৩৩। গম বারি ৩৩ ক্লিক করে বললাম কি পরিমাণ সার দিতে পারি,সেই সুপারিশ চলে এসেছে। একটা কৃষকের ফসল উৎপাদনের জন্য যেত ধরণের পরামর্শ প্রয়োজন যেটা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দিয়ে থাকে। সেটা এখন অ্যাপসের মাধ্যমে পেয়ে যাচ্ছি। অ্যাপসটি বাংলায় করা আছে যাতে কৃষকরা সহজেই বুঝতে পারে। এখন অনেক কৃষকের স্মার্ট ফোন আছে। যদি এই অ্যাপসটি ব্যবহার করা শিখে যায় তাহলে তাঁরা নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারবে। আমি এখানে এসে চমৎকৃত হলাম। সেখানে আগে আম ছাড়া কিছু হত না পুরো বরেন্দ্র অঞ্চল খা খা করত। বরেন্দ্র অঞ্চল এখন আর জমি ফাঁকা থাকছে না। এ স্লোগানটি মানুষের মনে গেঁথে গেছে। সরিষা, গম,পেয়ারা, ড্রাগনসহ বিভিন্ন ধরণের ফসল রাস্তা দিয়ে আসার সময় দেখলাম। বিভিন্ন ধরনের ফসলে ভরপুর। যার যেটুকু জমি আছে কিছু না কিছু অন্তত উৎপাদনে চেষ্টা করছে।

পরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের আয়োজনে বারি গম ৩৩ এর প্রদর্শনী ট্রায়ালের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ক্রপ জোনিং প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ও সদস্য পরিচালক (শস্য) ড. মো আবদুছ ছালাম। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা খাতুন, কৃষক ময়েন আলী ও শাহিন আকতার।

আতিকুল ইসলাম আজম

আরো পড়ুন : জেনে নিন জুমার দিন কোন পাঁচ ভুল করা যাবে না

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *