ইংরেজিতে লেখা চিঠিটির শুরুতেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঠিকানা দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমরা বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আপনাকে লিখছি, যাঁরা আপনার দেশের জনগণের সাহস ও উদ্ভাবনী দক্ষতার প্রশংসা করেন। আমাদের মধ্যে সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের নেতা ও সমাজসেবক আছেন। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মতো আমরাও বাংলাদেশে উদ্ভাবিত ও সারা বিশ্বে গৃহীত উদ্ভাবনগুলো দ্বারা অনুপ্রাণিত। আপনার দেশের প্রতি এই গভীর শ্রদ্ধা থেকেই আমরা আপনাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকদের একজন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মহান অবদানকে সমর্থন ও স্বীকৃতি দিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে আপনাকে অনুরোধ জানিয়ে লিখছি।
‘ড. ইউনূসের ভালো থাকার বিষয়ে, বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বে মানবিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন, তা অব্যাহত রাখতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। আমরা নিশ্চিত, আপনি জানেন যে বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূসের অবদান, বিশেষ করে অতি দরিদ্র ও সবচেয়ে বিপদাপন্ন মানুষদের জন্য তাঁর অবদান বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এবং সম্মানিত।
‘প্রফেসর ইউনূসের সুস্থতা এবং বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বে মানবিক অগ্রগতিতে অবদান রাখার জন্য তাঁর ক্ষমতার জন্য আমাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে।’
গভীর উদ্বেগ জানিয়ে এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বের জন্য তাঁর কিছু অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ এবং বিশ্বের মানবিক অগ্রগতিতে অবদান রাখার জন্য অধ্যাপক ইউনূসের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। আমরা এটা নিশ্চিত, আপনি অবগত আছেন যে বাংলাদেশে এবং পুরো বিশ্বে, বিশেষ করে দরিদ্র ও সবচেয়ে অরক্ষিতদের জন্য মুহাম্মদ ইউনূসের অবদান বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও সম্মানিত। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অধ্যাপক ইউনূস ইতিহাসের সাত ব্যক্তির মধ্যে একজন, যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন। ওই সাতজনের মধ্যে নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, মাদার তেরেসা ও এলি উইজেলের মতো ব্যক্তিরা আছেন।’
আরো পড়ুন : ভোলাহাটে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত