‘অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ভেসে গেছে ১২ কোটি টাকার মাছ’

অর্থনীতি জনদুর্ভোগ জাতীয় প্রচ্ছদ শিল্প প্রতিষ্ঠান

অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় নেত্রকোনায় মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় জেলার ১০ উপজেলার ২৬ হাজার ৪১৭টি পুকুর, জলাশয় ও মৎস্য খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ভেসে গেছে প্রায় ১২ কোটি টাকার মাছ।

নেত্রকোনা জেলা মৎস্য অফিসার শাহজাহান কবির জানান, বন্যার কারণে জেলার ১০ উপজেলায় ২৬ হাজার ৪১৭টি পুকুর, দীঘি, মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে। ১৫ হাজার ৮২৬ জন মৎস্য খামারি এবং মৎস্য চাষি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যায় ৮ হাজার ২৪৭ টন মাছ ও ১ কোটি ৪২ লাখ পোনা ভেসে গেছে। টাকার অঙ্কে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২ কোটি টাকা।

এদিকে ব্যাংক ঋণ নিয়ে যারা মাছ চাষ করেছিল তারা এখন চরম বিপাকে পড়েছেন। ঋণ পরিশোধ করা নিয়ে তারা এখন দুশ্চিন্তায় আছেন।

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার মধুপুর গ্রামের নিপা এগ্রো ফিশারিজের স্বত্বাধিকারী মো. রোকনুজ্জামান খান খোকন জানান, তিনি ৭০ কাঠা (নেত্রকোনায় ১০ শতাংশে এক কাঠা) পুকুরে পাবদা, তেলাপিয়া, শিং, রুই, কাতলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করেছিলেন। মাছ যখন প্রায় বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠেছিল তখন বন্যায় তার মাছের খামার ডুবে যায়। এতে সব মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। তিনি ব্যাংক থেকে ১২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। আশা করছিলেন প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ ও পোনা বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু তার আগেই আকস্মিক বন্যায় তার সব মাছ ভেসে গেছে।

জেলা মৎস্য অফিসার মো. শাহাজাহান কবির বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষি বা খামার মালিকদের কিভাবে সহায়তা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তাদের পুনরায় মাছ চাষের জন্য প্রণোদনা দেওয়া হবে।

আরো পড়ুন : ‘হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে রাজশাহীতে’

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *