আইন সংশোধনে বাধা দিচ্ছে বিএটিবি এবং জেটিআই তামাক কোম্পানি

অর্থনীতি আইন-আদালত আন্তর্জাতিক জনদুর্ভোগ তথ্য-প্রযুক্তি প্রচ্ছদ স্বাস্থ্য কথা হ্যালোআড্ডা

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি আইনের খসড়া সংশোধনীটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু দুইটি সিগারেট কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) এবং জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই) আইন সংশোধনের বিরোধিতা করে অর্থ এবং আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরারর চিঠি দিয়েছে। আইন সংশোধন হলে সরকারের রাজস্ব হারানোসহ বেশকিছু ভিত্তিহীন তথ্য তুলে ধরেছে কোম্পানি দুটি। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে, ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস হওয়ার পর পরবর্তী ২০০৫-০৬ এবং ২০০৬-০৭ অর্থবছরে সিগারেট খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে যথাক্রমে ১৭.৯৭ শতাংশ এবং ৩৭.৫২ শতাংশ। একইভাবে, ২০১৩ সালের সংশোধনীর পর পরবর্তী ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সিগারেট খাতে রাজস্ব আয় বেড়েছে যথাক্রমে ২৫.৫১ শতাংশ এবং ৪৬.৫২ শতাংশ। এবিষয়ে তামাকবিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, মূলত পরোক্ষ ধূমপানের স্বাস্থ্যক্ষতি থেকে অধূমপায়ীদের সুরক্ষা প্রদান এবং তরুণ প্রজন্মকে তামাকের বিষাক্ত ছোবল থেকে মুক্ত রাখতেই বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সুতরাং তামাক কোম্পানির অপতৎপরতায় বিভ্রান্ত না হয়ে খসড়া সংশোধনীটি দ্রুত পাস করতে হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বছরে ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে মৃত্যুবরণ করে। বর্তমানে ১৫ বছর তদূর্দ্ধ জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫.৩ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা একই সময়ে তামাকখাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের (২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা) চেয়ে অনেক বেশি।

বার্তা প্রেরক,

মো. মেহেদী হাসান

প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)

আরো পড়ুন : এবার বিএফআইইউ ২৮ সাংবাদিকের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য চেয়েছে

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *