ম্যাচ শেষে লঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতে গিয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়রা। কিন্তু মুখ ফিরিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান তারা। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ‘টাইমড আউট’ নিয়ে বাংলাদেশের অসম্মান আর কলঙ্কের কথা খুব জোর আওয়াজে বলেন। কিন্তু লঙ্কানরা যে সৌজন্যতার হাত মেলালেন না– সেটা অশ্রদ্ধা বা অসম্মানের নয়? এক লঙ্কান সাংবাদিকই জিজ্ঞাসা করেছিলেন ম্যাথুসের কাছে। উত্তরের সেই কড়া কড়া ভাষা- ‘যারা আমাদের সম্মান করে আমরা তাদেরকে সম্মান দেই। সাকিব এবং বাংলাদেশ আজকের ম্যাচে অসম্মান করছে আমাদের। আমরাও তাদেরকে সম্মান দেখাইনি। আজকের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশ নিয়ে যে শ্রদ্ধা আর সম্মান ছিল আমাদের তা আর নেই।’
শুধু বাংলাদেশ দল নয় আম্পায়ার এবং আইসিসির এই নিয়মকেও অশ্রদ্ধা করে কথা বলেন ম্যাথুস- ‘আজকে যা হয়েছে আমার সঙ্গে তাতে পুরোপুরি ভুল ছিল আম্পায়ারের। আইসিসি ব্যাটারদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলে। অথচ তখন আমি আম্পায়ারকে দেখায় যে আমার হেলমেটের স্ট্রিপ ছিঁড়ে গেছে। আমি সেটা বদল করে আনতে বলি। সময় ক্ষেপণ করার কৌশল আমি নেইনি। আম্পায়ারের উচিত ছিল আমাকে সময় দেওয়ার। তাছাড়া আমি নিয়মের মধ্যেই মাঠে নেমেছি। আমি ১ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে ক্রিজেও গিয়েছি। আমার হাতে আরও পনেরো সেকেন্ড ছিল হেলমেট বদল করে নেওয়ার। কিন্তু আমাকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমাদের কাছে ভিডিও আছে। প্রমাণ দিতে পারি যে আমি ভুল ছিলাম না।’
সাকিবের সিদ্ধান্তেও নিজের হতাশার কথা লুকাতে পারেননি ম্যাথুস- ‘আমি জানি না বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশ হলে এমনটা করতো কিনা? এটা একটা কমনসেন্সের ব্যাপার। কেউ একজন ব্যাটিং করতে এসে যদি দেখে তার হেলমেটের ফিতা ছিঁড়ে গেছে তাহলে কি সেটা পরিবর্তন করবে না? সাকিব পারত আবেদনটা উঠিয়ে নিতে।’
আরো পড়ুন : শেরে বাংলার ১৫০তম জন্ম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হলেন নতুনধরা আবাসন