অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) আয়োজনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ী সম্মেলন’ শুরু হচ্ছে আজ। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি খাতের অবদান, বর্তমান প্রেক্ষাপট ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে এই সম্মেলনে। এ উপলক্ষ্যে গতকাল এফবিসিসিআই এর বোর্ড রুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ এখন ট্রিলিয়ন (এক লাখ কোটি) ডলারের অর্থনীতি হওয়ার পথে। সম্ভাবনাময় এই যাত্রাপথে কিছু সমস্যাও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে সেই সম্ভাবনা ও সমস্যাগুলো তুলে ধরবেন ব্যবসায়ীরা।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বর্তমান জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, সালাউদ্দিন আলগমীর ও হাবিব উল্লাহ ডন, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহবুব উর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য ব্যবসায়ী সম্মেলনে সারা দেশের চেম্বার, বিশেষায়িত চেম্বার, পণ্যভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন, রপ্তানিকারক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠনের নেতারা যোগ দেবেন। পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরাও অংশ নেবেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এদিকে হঠাৎ করেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কথা বলে ব্যবসায়ী সম্মেলনের আয়োজন করছে এফবিসিসিআই। গত সোমবার সম্মেলনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় সংগঠনটি। এরপর থেকে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই সম্মেলন থেকে বর্তমান সরকারের প্রতি সরাসরি সমর্থন জানানো হতে পারে। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও এফবিসিসিআই’র আয়োজনে ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতা চাওয়ার কথা জানান দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
চলতি বছরের শেষদিকে বা আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তা সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো ইতিমধ্যে কর্মসূচি-পাল্টা কর্মসূচি দিতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এবং বিদেশিদের মধ্যেও এ নিয়ে উদ্বেগ আছে। সম্মেলনে রাজনীতি নিয়ে উদ্বেগের কথা ব্যবসায়ীরা বলবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে এফবিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, আমরা ব্যবসা করি, আমরা চাই, দেশে যেন স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেন ভালো থাকে। এগুলো না থাকলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের আজকের অর্থনীতি ১০ বছর আগের চেয়ে ভিন্ন। আগের মতো আমরা অনেককিছুই সহ্য করতে পারবো না। আগে হরতাল ছিল। এখন কি হরতাল সহ্য করা যাবে? যাবে না। আমরা ব্যবসায়ীরা সব সময়ই চাই দেশ শান্তিপূর্ণভাবে চলুক। তাহলেই আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির জন্য ভালো। তিনি বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা চাই, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও অর্থনীতি যেন কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়। রাজনীতিবিদেরাও নিশ্চয়ই বোঝেন, অর্থনীতি না থাকলে দেশে আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকবে না। এখানে ব্যবসায়ীরা অতীতের মতোই বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবেন।’
আরো পড়ুন : বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ সত্যিকারের নির্বাচন চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র