আতিকুর রহমান নগরী : আজ ১২ রমজান, ১৪৪৪ হিজরি। আজ মাগফিরাত দশকের দ্বিতীয় দিন। রমজানকে তিন ভাগে বিভক্ত করার দ্বিতীয় ভাগে আল্লাহ তায়ালা তাঁর গাফ্ফার সিফাত প্রকাশের মধ্যদিয়ে অসংখ্য-অগণিত পাপী বান্দাদের সকল পাপ মোচন করে দিয়ে তাদেরকে ক্ষমাপ্রাপ্ত বান্দাদের কাতারে শামিল করাবেন। ক্ষমা পাওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য রমজানুল মোবারককে স্পেশাল নেয়ামত আর সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দান করেছেন। এ মাসেই আমাদের ক্ষমা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে নতুবা আমাদের জন্য রমজান মাসে সিয়াম সাধনা করা ব্যর্থ হয়ে যাবে। মহান প্রভুর ক্ষমাপ্রাপ্তির জন্য আমাদের যারপরনাই মেহনত তথা পরিশ্রম করতে হবে। পবিত্র রমজান মাসে সমাজের অনেক প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষকে ফরজ রোজা ত্যাগ করে দিনদুপুরে আহার করতে দেখা যায়। বিশেষত যুবক ও শ্রমিক শ্রেণির মাঝে এ প্রবণতা বেশি। আর শহুরে পরিবেশে বেড়ে ওঠা অনেক কিশোর-কিশোরীদেরও অতি আদর করে রোজা রাখতে মা-বাবা বারণ করেন এই অজুহাতে যে, তাদের কষ্ট হবে। এর দায়-দায়িত্ব ঐ সব মা- বাবাকেই গ্রহণ করতে হবে।
নাবালক অবস্থায়ই সন্তানদেরকে নামাজ রোজার তালিম দেয়া এবং অভ্যস্ত করে গড়ে তোলা পিতা- মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য। হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে যে, সাত বছর বয়সে সন্তানদের সালাত আদায়ের নির্দেশ করো, দশ বছর বয়স হলে নামাজ পরিত্যাগ করার জন্য বেত্রাঘাত করো। রোজার ক্ষেত্রে কিশোর- কিশোরীদের অবশ্যই রোজার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সূর্য যখন পশ্চিমাকাশে অস্তমিত হবে মাগফিরাতের দ্বিতীয় দিন আমাদের কাছ থেকে বিদায় নেবে। আল্লাহর খুশির জন্য যা দান করা হয়, তা খরচ হয় না, তা আল্লাহর কাছে জমা থাকে। তা বহুগুণ বৃদ্ধি হয়ে দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য কল্যাণের পথ সুগম করে দেয়। হাদিস শরীফে এসেছে মহানবী (সা.) বলেন, যে, রমজান মাসকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে- প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাতের এবং তৃতীয় দশদিন নাজাত তথা জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির। এই হাদিস দ্বারা উপলব্ধি করা গেল যে, রমজানের মধ্যবর্তী দশদিন আল্লাহর মাগফিরাতের ভরপুর হওয়ার দিন।
আরো পড়ুন : শরীরে কাটা ও ফোলা জখম থাকলেও ‘মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণেই জেসমিনের মৃত্যু’