স্টাফ রিপোর্টার : সম্প্রতি বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নামা বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের উদ্দেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আপনাদের দাবি-দাওয়া এতদিন কোথায় ছিল। আগে কেন এগুলো নিয়ে কথা বলেননি? সাড়ে ১৫ বছর ধৈর্য ধরেছেন, আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরুন। সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বলেন, এক মাসও হয়নি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, দেশকে গোছাতে দিন, আপনারা সহায়তা করুন। সচিবালয়ে রোববারের ঘটনার প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেন, আনসার সদস্যরা গায়ের জোরে সচিবালয়ে ঢুকে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিপরীতে তারা হাসনাত আব্দুল্লাহকে মারধর করেন। এরপর ছাত্র-জনতা তাদের প্রতিরোধ করেন। আমরা হাসনাত আব্দুল্লাহকে দেখতে এসেছিলাম। তার জন্য দোয়া করেছি, যেন তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান। যদি পরবর্তী সময়ে এমন কোনো ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে জামায়াতের ভূমিকা কি থাকবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা জামায়াতে ইসলামী হিসেবে আসব না, সাধারণ জনগণ হয়ে আসব।
আমরা একা আসব না, আমরা ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে সহযোদ্ধা হিসেবে আসব। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, এমন কোনো পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়। জামায়াতের আমীর বলেন, যারা সম্মুখ সারিতে থেকে স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়েছে, তাদের গায়েই আনসার সদস্যরা হাত তুলেছেন। আমরা আপনাদের দাবি-দাওয়ার পক্ষে আছি, কিন্তু আপনাদের সময় দিতে হবে এবং ধৈর্য ধরতে হবে। আর এধরনের গণবিপ্লবকে ব্যর্থ বা বিফল করার জন্য যেকোনো দিক থেকে যারাই আসুক তাদের প্রতিহতে সবাইকে সোচ্চার ও জাগ্রত থাকতে হবে। কেউ অপতৎপরতা চালালে যেন থামিয়ে দেয়া যায়। রাষ্ট্রের একটা বাহিনীর কতিপয় দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে হাসপাতালে দেখতে যান আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নায়েবে আমির এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মু. দেলাওয়ার হোসেন ও মু কামাল হোসাইন প্রমুখ।
আরো পড়ুন : এমপির ছোঁয়ায় আয়া থেকে মুক্তা রাণী এখন শত কোটি টাকার মুক্তা সেন