আফগানিস্তানে নারীদের কর্মক্ষেত্রসহ জনজীবনে অংশগ্রহণের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে অগ্রগতির আশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। নারীদের ওপর তালেবান সরকারের আরোপিত বিধি-নিষেধ নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘের উপমহাসচিব আমিনা মোহাম্মদ আফগানিস্তান সফরে আসেন।
আমিনা মোহাম্মদ আশা প্রকাশ করেছেন, আফগানিস্তানে স্বাভাবিক জনজীবনে নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন হবে। তিনি বলেন, তালেবান নেতাদের মধ্যে অনেকে এ বিষয়ে একমত। তবে অনেকের মধ্যে বিরোধিতাও রয়েছে। তবে জাতিসংঘের এই নারী কর্মকর্তা এ-ও বলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা বেশ কঠিন ছিল। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের জন্য তালেবানকে দীর্ঘ পথ যেতে হবে।
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে নারীদের শিক্ষা ও কাজের অধিকারের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর জেরে আমিনা মোহাম্মদ আফগানিস্তানে চার দিনের সফরে আসেন। তালেবান কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করাই তাঁর এ সফরের উদ্দেশ্য।
গত মাসে তালেবান কর্তৃপক্ষ উন্নয়ন সহযোগী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে (এনজিও) কর্মরত নারীদের কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর ফলে অনেক সংস্থা আফগানিস্তান থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়। তাদের কর্মীদের একটা বড় অংশ ছিল নারী। নারীদের কাজ হারানোর পাশাপাশি সহায়তা কর্মসূচি বন্ধ হওয়ায় আফগানিস্তানের দরিদ্র সাধারণ মানুষের অবস্থা আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আমিনা মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি মনে করি তাদের (তালেবান) মধ্যে অনেক ধরনের সুর রয়েছে। এর মধ্যে প্রগতিশীল মত রয়েছে, যা আমরা দেখতে চাই। তবে অন্যান্য বক্তব্যও রয়েছে যা আমরা সত্যিই চাই না।’ তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য চাপ দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
তালেবানকে নিয়ে আফগানিস্তানে উদ্ভূত সংকটকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্বেরও সমালোচনা করেন আমিনা মোহাম্মদ। তাঁর অভিযোগ, ইসলামী দেশগুলো এ ব্যাপারে যথেষ্ট কাজ করছে না।
২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানে পশ্চিমা মদদপুষ্ট শাসকদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করে। সূত্র : বিবিসি
আরো পড়ুন : রাজধানীর ভাটারা থেকে শিক্ষার্থীসহ দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ