অব্যাহতি চেয়েও পেলেন না ৪১ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাজার হাজার কাউন্সিলরের অনড় দাবি ও পূর্ণ সমর্থনে সর্বসম্মতিক্রমে দশম বারের মতো সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর এই জ্যেষ্ঠ কন্যা। ১৯৮১ সালের ১৩তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসা শেখ হাসিনা আগামী তিন বছরের জন্য আবারও দলের কান্ডারি হলেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে টানা তৃতীয় বারের মতো পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল শনিবার বিকাল ৩টায় দেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে কাউন্সিলরদের সমর্থনে সর্বসম্মতিক্রমে তারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হন। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় দলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সভাপতি পদে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরকে পুনর্নির্বাচিত ঘোষণা করলে মিলনায়তনে উপস্থিত সহস্রাধিক কাউন্সিলর উল্লাসে ফেটে পড়েন। গগণবিদারী স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন কাউন্সিলর আমির হোসেন আমু। তাতে সমর্থন করেন মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি। এ সময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি বিকল্প নাম আহ্বান করলে কাউন্সিলররা সমস্বরে ‘না’ উচ্চারণ করেন। ফলে টানা দশম বারের মতো আওয়ামী লীগ সভাপতি পদে নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। এরপর সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন কাউন্সিলর সাধন চন্দ্র মজুমদার। নাম প্রস্তাবে সমর্থন করেন কাউন্সিলর পনিরুজ্জামান তরুণ। নির্বাচন কমিশন বিকল্প নাম আহ্বান করলে কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে বিকল্প কোনো নাম প্রস্তাব আসেনি।
আরো পড়ুন : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর ভরসা পুরোনোরাই
এর আগে শনিবার সকালে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা উড়িয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর ও লক্ষাধিক ডেলিগেট অংশ নেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, আমন্ত্রিত অতিথি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও যোগ দেন। এবারের জাতীয় সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় তুলে ধরা হয়। বিষয়টি সামনে রেখেই সম্মেলনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয় ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।’
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরদের দ্বিতীয় অধিবেশনে নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার পর নবনির্বাচিত সভাপতি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়াম সদস্য, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন এবং কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটে তা অনুমোদন করিয়ে নেন। একই সঙ্গে আগামী তিন বছরের জন্য দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডও কাউন্সিলের অনুমোদন নিয়ে গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী তিন বছরের জন্য গঠিত নতুন কমিটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তেমন কোনো চমক নেই ঘোষিত নতুন কমিটিতে। অতীত সম্মেলনগুলোতে বহুসংখ্যক নক্ষত্রের পতন ঘটলেও এবার তার কিছুই ঘটেনি। উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন, পরিমার্জন নেই নেতুন কমিটিতে। সামান্য কিছু পদে রদবদল ছাড়া পুরোনো নেতাদের নিয়েই গঠন করা হয়েছে নতুন কমিটি।
আরো পড়ুন : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বাদ পড়লেন খন্দকার মোশাররফ
চলতি মেয়াদের কমিটির শেষ বক্তব্যে দল থেকে বিদায় চেয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেখানেই থাকি না কেন আমি আছি আপনাদের সঙ্গে। আমি চাই আপনারা নতুন নেতা নির্বাচন করুন। দলকে সুসংগঠিত করুন। নতুন আসতে হবে। পুরাতনের বিদায় নতুনের আগমন, এটাই চিরাচরিত নিয়ম। এই কথা বলে আমি আপনাদের থেকে অনুমতি চেয়ে নিয়ম অনুযায়ী ২০১৯ সালের সম্মেলনে যে কার্যকরী সংসদ নির্বাচিত হয়েছিল সেটা বিলুপ্ত ঘোষণা করছি। নির্বাচন কমিশনের কাছে দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছি। তবে শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের সময় উপস্থিত কাউন্সিলররা ‘না, না’ বলে চিত্কার করতে থাকেন। এতে তার বক্তব্য শেষ করতেও কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। তাদের থামাতে না পেরে শেখ হাসিনা বলে উঠেন, ‘এরকম করলে হবে না তো’। পরে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রস্তাব হবে। সমর্থন হবে। তখন আপনারাই বিবেচনা করবেন। আপনাদের ওপর সব ভার ছেড়ে দিয়ে বিদায় নিচ্ছি। কাউন্সিল অধিবেশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সমাপনী বক্তব্যে শেখ হাসিনা দশম বারের মতো সভাপতির দায়িত্ব প্রদানে কাউন্সিলরসহ দলের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনারা যে গুরুদায়িত্ব আমার ওপর আবারও অর্পণ করলেন, তা আমি বহন করব। ৪১ বছর একটা দলের সভাপতি, তবে একটা সময় আমাকে বিদায় নিতে হবে। আমার বয়স হয়েছে, আমার বয়স এখন ৭৬। তাই আগামীতে নতুন সভাপতি আপনাদের (কাউন্সিলর) বেছে নিতে হবে।’ এ সময় কাউন্সিলররা ‘নো’ ‘নো’ বলে গোটা প্যান্ডেল প্রকম্পিত করে তোলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক ঝামেলা, অনেক কিছু গেছে। করোনা মোকাবিলা, যুদ্ধ, স্যাংশন সব কিছুর মধ্যে দিয়েও আমরা সময়মতো কাউন্সিল করতে পেরেছি। যেসব জেলা ও ইউনিটে এখনো সম্মেলন হয়নি, নতুন যে কমিটি আসবে সেই কমিটির নেতৃত্বে এসব জায়গায় অবশ্যই যেন সম্মেলন হয়। সেদিকে নজর দিতে হবে।
এদিকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন আসেনি। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও বড় রদবদল হয়নি। সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। এছাড়া সভাপতিমণ্ডলী ১৫ জন, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক চার জন, কোষাধ্যক্ষ এক জন, ১৭ বিভাগীয় সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক আট জন এবং এক জন উপ-সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৮১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ৪৮ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে ১৫ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, কাজী জাফর উল্লাহ, ইঞ্জি. মোশারফ হোসেন এমপি, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, শাজাহান খান এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, কামরুল ইসলাম এমপি ও সিমিন হোসেন রিমি স্বপদে বহাল আছেন। দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে যুক্ত করা হয়েছে সভাপতিমণ্ডলীতে। বাদ পড়েছেন তিন জন। তারা হলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ, রমেশ চন্দ্র সেন ও অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান। এই তিন নেতাকে উপদেষ্টা করা হয়েছে। ১৭ সদস্যবিশিষ্ট প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে দুটি পদ ফাঁকা রয়েছে।
চার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হলেন ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি। আগের কমিটিতেও তারা একই দায়িত্ব পালন করেছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে এইচ এন আশিকুর রহমান এমপিও রয়েছেন আগের পদে। ১৯টি বিভাগীয় সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে আগের কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা স্বপদেই রয়েছেন। সম্পাদকমণ্ডলীতে যুক্ত হয়েছেন আগের কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। তাকে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে। শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আগের কমিটির আট জনের মধ্যে সাত জনই স্বপদে রয়েছেন। তারা হলেন—আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম এমপি, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। বাদ পড়েছেন সাখাওয়াত হোসেন শফিক। তার জায়গায় আগের কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীকে আনা হয়েছে। আগের কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানও একই পদে রয়েছেন। তবে ফাঁকা রয়েছে উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। যে তিনটি পদ ফাঁকা রয়েছে পরবর্তী সময়ে মিটিং করে দেওয়া হবে বলে জানান দলীয় সভানেত্রী। তিনি বলেন, এছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটি আমাদের দলের প্রেসিডিয়াম সভা করে চূড়ান্ত করা হবে।
জাতীয় কমিটি: দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা এদিন জাতীয় কমিটির নাম ঘোষণা করেন। তারা হলেন—আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ড. মশিউর রহমান, অ্যাড. ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মির্জা এম এ জলিল, আকবর আলী মর্জি, ড. আনিসুল হক, জাহিদ মালিক স্বপন, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, শাহজাহান কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস, চন্দ্রীজগল পাল, শ্রী রমেশ চন্দ্র, নুরুল ইসলাম নাহিদ, হারুনুর রশিদ, হাবিবুর রহমান সিরাজ।
সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড :সংসদীয় বোর্ডও অনুমোদন হয়েছে সম্মেলনে। সংসদীয় বোর্ডের পাঁচ জন মৃত্যুবরন করেছেন। পরে সেগুলো পূরণ করা হবে বলে জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। সংসদীয় বোর্ডের প্রধান হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী থাকছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এছাড়া রয়েছেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, কাজী জাফর উল্লাহ, রমেশ চন্দ্র সেন, ওবায়দুল কাদের, মো. রাশিদুল আলম, ড. দীপু মনি।
স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড : এই বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা। সদস্যরা হলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, কাজী জাফর উল্লাহ, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শ্রী রমেশ চন্দ্র সেন, ওবায়দুল কাদের, মো. রাশিদুল আলম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. আব্দুর রহমান, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।
উপদেষ্টা পরিষদ : কাউন্সিল অধিবেশন থেকেই দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। সেখানেও আগের প্রায় সবাই বহাল রয়েছেন। তারা হলেন—আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ড. মশিউর রহমান, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, রাজীউদ্দিন আহমেদ রাজু, ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, শ্রী সতীশ চন্দ্র রায়, প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, প্রফেসর ডা. রুহুল হক এমপি, কাজী আকরাম উদ্দীন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, ড. অনুপম সেন, প্রফেসর ড. হামিদা বানু, প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুর, অধ্যাপিকা সুলতানা শফি, এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, অ্যাম্বাসেডর জমির, গোলাম মওলা নকশাবন্দি, ড. মির্জা এম এ জলিল, ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া, মে. জে. আব্দুল হাফিজ মল্লিক পিএসসি (অব.), প্রফেসর ডক্টর সাইদুর রহমান খান, ড. গওহর রিজভী, প্রফেসর খন্দকার বজললু হক, মো. রশিদুল আলম, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, কাজী সিরাজুল ইসলাম, চৌধুরী খালেকুজ্জামান, মোজাফফর হোসেন পল্টু, সালমান এফ রহমান, এনাম আহমেদ চৌধুরী, আতাউর রহমান, এ কে এম রহমাতুল্লাহ, মো. শাহাবুদ্দিন টিপু, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, ড. শামসুল আলম, মতিউর রহমান খান, অ্যাডভোকেট জহিরুল হক। এছাড়া এবার উপদেষ্টা হয়েছেন শ্রী রমেশ চন্দ্র সেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, হারুনুর রশিদ, হাবিবুর রহমান সিরাজ।
আরো পড়ুন : গাড়িতে বসে প্রায় আধা চাষাঢ়ায় বিএনপির গণমিছিল দেখলেন শামীম ওসমান