আতিকুর রহমান নগরী : দেখতে দেখতে আমরা মাগফিরাত দশকের শেষপ্রান্তে উপনীত হয়েছি। এখন আমাদের হিসাব মেলানোর সময় এসেছে। চিন্তা-ফিকির করে দেখতে হবে রহমত পেরিয়ে মাগফিরাতের দশকের শেষ পর্যায়ে এসে আমরা কি মহান রাব্বুল আলামীনের ক্ষমাপ্রাপ্ত বান্দাদের কাতারে শামিল হতে পেরেছি? আমি কি আমার সব গোনাহ-খাতা, কুসুরির মার্জনা করাতে পেরেছি? সব ভুলের তরে মাথা নত করে স্বীকারোক্তিপূর্বক ক্ষমার আশা বুকে বাঁধতে পেরেছি? মহিয়ান গরিয়ান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। তার কাছে আমাদের ভিখারীর মতো হাত পেতে চাইতে হবে। দোয়ার মাধ্যমে নিজের সব গোনাহের মার্জনা করিয়ে নিতে হবে। রমজান মাস বরকতময়। এর সবটুকু সময় বরকতময়। তবে বিশেষ কিছু সময় আছে যে সময়টুকুতে মহান প্রভুর দরবারে দোয়া করলে তা বৃথা যায় না। আসরের পর থেকে মাগরিবপূর্ব পর্যন্ত সময় অত্যন্ত বরকতময়। এরচেয়ে বেশি বরকতময় ইফতার সামগ্রী সামনে রেখে দোয়া করলে তা অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা মঞ্জুর করেন।
হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, রমজানুল মোবারকের প্রতিদিন ও রাতে মহান আল্লাহ জাহান্নাম থেকে অসংখ্য কয়েদিকে মুক্তি দেন এবং প্রত্যেক মুসলমানের পক্ষ থেকে একটি করে দোয়া দিনে ও রাতে কবুল করেন।
এ জন্য দোয়ার অর্থ ও মর্ম জানার জন্য আমাদের চেষ্টা করা উচিত। ইফতারের সময় আমরা দোয়া করি ‘আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়াবিকা আমানতু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়াআলা রিযকিকা আফতারতু’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ আমি আপনার সন্তুষ্টির জন্যই রোজা রেখেছি, আর আপনার প্রতিই ঈমান এনেছি, আপনার উপরই ভরসা করছি এবং আপনার দেয়া রিযিক দ্বারাই ইফতার করছি।’ না পারলে কেবল বিসমিল্লাহ বলেও ইফতার করা যায়।
অতএব, আসুন! রাব্বুল আলামীনের কাছে প্রার্থনা করি নিজের জন্য, নিজের পরিবার-পরিজনের জন্য, পাড়া-প্রতিবেশীর জন্য, আত্মীয়-স্বজনের জন্য, দেশের জন্য এবং সমগ্র দুনিয়ার মানুষের হিদায়েত ও মুক্তির জন্য। নিজ নিজ পরিবারে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনার অভ্যাস গড়ে তুলি। মহান আল্লাহ পাক যেন অনুগ্রহ করে, দয়া করে নাজাতপ্রাপ্ত মানুষের তালিকায় আমাদের গণ্য করেন-এই মোনাজাত। আমীন
আরো পড়ুন : প্রবাসীদের ফাঁদে ফেলে কোটিপতি ইমো হ্যাকের মাস্টার শিপন