আমরা রহমতের দশক অতিক্রম করে এসেছি। মাগফিরাতের দশকের আজ তৃতীয় দিন। আজ বিশ্ব মুসলিমের অবস্থা ভালো নেই। মানব জাতির হেদায়েতের একমাত্র মূল উৎস আল কোরআনকে সঠিকভাবে ধারণ ও গ্রহণ না করা এবং প্রিয় নবী (সা.)’র অনুপম জীবনাদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে পশ্চিমা সভ্যতার চর্চায় সময় ব্যয় করাই বিশ্ব মুসলিমদের এ দুরবস্থা। কোরআন-সুন্নাহতে ব্যক্তি জীবন থেকে নিয়ে রাষ্ট্রীয় জীবন পর্যন্ত আমলে বাস্তবায়িত না করার দরুন আমাদের দিন দিন এর অশুভ পরিণাম ভোগ করতে হচ্ছে। হাশরের ময়দানে মহানবী (সা.) অভিযোগ করে বলবেন, ‘হে আমার পালনকর্তা! আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা এই কোরআনকে পরিত্যক্ত করে রেখেছিল।’-সূরা ফুরকান ২৫/৩০।
কোরআনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যেমন থাকার ছিল তেমনটি নেই। এ কারণেই মহাগ্রন্থ আল-কোরআন থেকে যেভাবে উপকৃত হওয়ার কথা, সেভাবে হতে পারছি না। যাদের দিল খাওফে খোদায় ভরপুর, কেবল সেসব খোদাভীরুরাই উপকৃত হন। অতএব, আমাদের উচিত দৈনন্দিন জীবনে কোরআন-হাদিসের জরুরি জ্ঞান অর্জন করা। কারণ নবী করীম (সা.) ইরশাদ করেন, প্রত্যেক নর-নারীর উপর দ্বীনি ইলিম শিক্ষা করা ফরজ।
সুপ্রিয় পঠকবৃন্দ আসুন, কোরআন মাজিদের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করি। এর আলোয় জীবন ও জগৎ আলোকিত করি। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও জাতীয় জীবনে কোরআনের শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাই। কোরআন মাজিদের চর্চা ছড়িয়ে দেই সর্বত্র। মহান আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন। আমীন।
আরো পড়ুন : ১০টি মার্কেটে প্রায় ৫ হাজার দোকান পুড়ে ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকা