আসুন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি ব্যবহার নিশ্চিত করি

জনপ্রতিনিধি প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি হ্যালোআড্ডা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, সরকার হয়তো পুলিশ দিয়ে, বোমা দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ক্ষমতায় থাকবেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন- আগামী প্রজন্মের কাছে আপানারা কোন বাংলাদেশ রেখে যাচ্ছেন? আসুন সংঘাতের রাজনীতি পরিহার করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি ব্যবহার নিশ্চিত করি। তা না হলে বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ খারাপ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান ও গণতন্ত্র‘ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)। সভায় সঞ্চালনা করেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এই সরকার মনে করছে তারা উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে টিকে থাকবে। কিন্তু সেটি না। স্বাধীনতার বিজয়ের প্রাক্কালে দেশের মানুষ ভেবেছিল বাংলাদেশ হবে একটি স্বাধীন দেশ। কিন্তু তার ঠিক আগ মুহূর্তে রাজাকার আলবদররা এক হয়ে দেশের মেধাস্বত্বকে হত্যা করেছে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মেধাবী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করে ফেলা। সে জন্যই মেধাবী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। যা বিশ্বে বিরল ঘটনা। আমরা তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে বাস করছি।

ড. মঈন খান বলেন, আমরা দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে ফেলেছে। ৭ জানুয়ারি শুধু ফলাফল ঘোষণা করবে। তফসিল নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমরা সত্যের পথে আছি। জনগণের সঙ্গে আছি। আমাদের বিজয় হবেই ইনশাআল্লাহ।

বিএসপিপির আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আসুন আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সম্পৃক্ত হই। এবার ফ্যাসিবাদ পরাজিত হবে দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী বলেন, একাত্তর সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বুদ্ধিজীবীরা নেপথ্যে কাজ করেছেন। কিন্তু পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষকদের বেছে বেছে নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।

ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আজকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলছে। আমরা অবিলম্বে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানাই।

সভায় আলোচক ছিলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হাই শিকদার, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিএইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রকৌশলী মাহবুব আলম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা সিদ্দিকী ও এ্যামট্যাবের বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, প্রকৌশলী একেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী কামরুল হাসান খান সাইফুল, প্রকৌশলী মুসলিম উদ্দিন, প্রকৌশলী এমএইচ পাটোয়ারী মিলন, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. আবদুল কুদ্দুস, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, কৃষিবিদ এমদাদুল হক দুলু, বিএনপির শিরিন সুলতানা, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়াসহ বিভিন্ন পেশাজীবী নেতারা।

আরো পড়ুন : রফিক ও তার ভাইয়ের নির্দেশে শিশু স্বাধীনকে হত্যা, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *