ইউক্রেনকে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত গোলাবারুদ পশ্চিমাদের হাতে নেই

আন্তর্জাতিক জনদুর্ভোগ প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি লাইফ স্টাইল হ্যালোআড্ডা

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছেই। এরজন্য প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র খরচ করতে হচ্ছে ইউক্রেন বাহিনীকে। আর এসবের বেশিরভাগই এসেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যদেশগুলো থেকে। তবে সম্প্রতি ন্যাটো সদস্যরা জানিয়েছে, ইউক্রেনকে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত গোলাবারুদ তাদের হাতে নেই।

পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশয়ে চলমান দুই দিনব্যাপী ‘ওয়ারশ সিকিউরিটি ফোরামে’ এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর সিএনএনের।

ওয়ারশ সিকিউরিটি ফোরামে ন্যাটোর সবচেয়ে সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল রব বাউয়ার বলেন, ‘পাত্রের তলার অংশটা এখন দেখা যাচ্ছে।’

তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার ও সমরাস্ত্র উৎপাদনকারীদের আরও দ্রুত গতিতে অস্ত্র উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন।

বাউয়ার বলেন, ইউক্রেন প্রতি দিন কয়েক হাজার গোলাবর্ষণ করছে। এগুলোর বেশিরভাগ সরবরাহ করছে ন্যাটো।

ন্যাটোর সামরিক কমিটির চেয়ার হিসেবে দায়িত্বরত এই অ্যাডমিরাল আরও বলেন, কয়েক দশক ধরে বিনিয়োগ কম থাকার কারণে ইউক্রেনকে নিজেদের অপূর্ণাঙ্গ মজুত থেকেই অস্ত্র সরবরাহ করছে ন্যাটো দেশগুলো।

তিনি বলেন, আমাদের অনেক বেশি গোলাবারুদ প্রয়োজন। ত্রিশ বছর ধরে আমরা একসঙ্গে আমাদের মুক্ত অর্থনীতিতে এক সঙ্গে অনেক দারুণ কাজ করেছি। কিন্তু যখন একটি যুদ্ধ চলছে তখন আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর জন্য যথেষ্ট কাজ করতে পারিনি।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জ্যামস হিপ্পি ফোরামে বলেন, পশ্চিমাদের গোলাবারুদের মজুত কমে আসছে। ন্যাটো দেশগুলোকে প্রতিশ্রুতি অনুসারে জাতীয় সম্পদের ২ শতাংশ ব্যয় করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো টমাস ওয়ারিক গত সপ্তাহে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইউক্রেনে যুদ্ধাস্ত্র পাঠাচ্ছে। কিন্তু সেগুলো যত তাড়াতাড়ি প্রয়োজন তত দ্রুত তারা পাচ্ছে না।

আরো পড়ুন : বিদেশে চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া পথ খোলা নেই খালেদা জিয়ার

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *