ইন্দোনেশিয়ায় রিক্টার স্কেলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১৬২, আহত শত শত 

আন্তর্জাতিক জনদুর্ভোগ প্রচ্ছদ

ইন্দোনেশিয়ায় আজ সোমবার আঘাত হানা ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এতে আহত হয়েছেন আরও শত শত ব্যক্তি। দেশটির আঞ্চলিক গভর্নর রিদওয়ান কামিল এই তথ্য জানান। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিক্টার স্কেলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভূমিকম্পটির আঘাতের কেন্দ্র ছিল দেশটির প্রধান দ্বীপ জাভায় পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চিয়ানজুর। মার্কিন ভূতত্ত্ব জরিপ বিভাগ বলছে, সোমবারের ঐ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল চিয়ানজুরের ১০ কিমি ভূগর্ভে।

চিয়ানজুর থেকে ১০০ কিমি দূরে রাজধানী জাকার্তায়ও ভূকম্পন বেশ জোরেই অনুভূত হয়েছে। সেসময় রাজধানীর উঁচু ভবনগুলো থেকে আতংকে মানুষজন ছুটে বাইরে বেরিয়ে আসে।

ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ইন্দোনেশিয়া, নিহত ৪০ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ইন্দোনেশিয়া, নিহত ৪০

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক মানুষকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া অনেককে হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদিকে কর্মকর্তারা সাবধান করেছেন মূল ভূমিকম্পের পর ছোট ছোট একাধিক ভূকম্পন হতে পারে এবং হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

দেশটির যে অঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত করেছে সেখানে জনবসতি বেশ ঘন এবং এলাকাগুলো ভূমিধ্বস-প্রবণ। উদ্ধারকারীরা ধংসস্তুপের ভেতর থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন খুঁজছেন। স্থানীয় বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে, সেসময় একজন নারী ও তার শিশু সন্তানকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

চিয়ানজুরের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হারমান সুহারমান সাংবাদিকদের বলেছেন, অনেক জায়গা থেকে নতুন নতুন শবদেহ এবং আহত মানুষজন নিয়ে আসা হচ্ছে।

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৫৬, আহত ৭০০ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৫৬, আহত ৭০০

বার্তা সংস্থা এএফপি তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, দুর্গত গ্রামগুলো থেকে আহত-নিহতদের নিয়ে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে আসছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে বিধ্বস্ত বহু বাড়িঘর এবং দোকানপাট দেখা গেছে। বিধ্বস্ত ভবনগুলোর মধ্যে একটি হাসপাতাল এবং একটি আবাসিক মাদ্রাসাও রয়েছে।

রাজধানী জাকার্তায় প্রায় এক মিনিট ধরে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। সেসময় বিভিন্ন অফিস ভবন থেকে লোকজন ভয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। ইন্দোনেশিয়া এমনিতেই একটি ভূমিকম্প-প্রবণ দেশ। ২০১৮ সালেও ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে সুলায়েসি দ্বীপে দুই হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল।

আরো পড়ুন : মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ছিনতাইয়ের পর চট্টগ্রামের আদালতের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *