ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে ১০৫ পিচ ইয়াবাসহ রেন্টে মাইক্রোবাস চালক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরের ভাই মাদক ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান (৪০)কে গ্রেপ্তার করেছে। জেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের লক্ষানকাঠী গ্রামে বুধবার বিকাল ৪টায় হাবিবুরের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে উক্ত ইয়াবা উদ্ধার ও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতী চলছে বলে জানাগেছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ আঃ রব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকাল ৪টায় রেন্টে মাইক্রোবাস চালক ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের ভাই মাদক ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানের বাড়ীতে তাদের একটি টিম অভিযান চালায়। এসময় হাবিবুরকে আটক করে ব্যাপক চল্লাশী চালালে তার দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে বের করা ১০৫পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তাকে জেলা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায় আজ দুপুরে বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ঝালকাঠির ভৈরবপাশা ইউনিয়নের লক্ষনকাঠি গ্রামের অধিবাসী স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরের ভাই হাবিবুরের কাছে ১হাজার পিচ ইয়াবা সাপ্লাইয়ের তথ্য দেয়। বরিশাল থেকে ঝালকাঠি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষকে এ তথ্য দেয়ার পর বিকাল ৪টায় তাদের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ হাবিবুরকে গ্রপ্তার করা হয়।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ঝালকাঠি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অভিযানকারী দলটি তাদের সম্মুখে মাদক ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানের বাড়ী থেকে ৭শ পিচ ইয়াবা ও নগদ আড়াই লাখ টাকা জব্দ করে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় তার শেল্টারদাতা বড় ভাই ইউপি সদস্য মনির হোসেন ছোট ভাইয়ের ঘরে অভিযানের সংবাদ পেয়ে আগেই তার বাড়ী থেকে সটকে পরে বলে জানায়।
এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ আঃ রব জানায়, মাদক ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে তিনি নিজেই বাদী হয়ে নলছিটি থানায় মামলা রুজু করবেন। তবে ৭শ পিচ আয়াবা ও নগদ আড়াই লাখ টাকা উদ্ধারের তথ্য গুজব বলে তিনি দাবী করেন।
আরো পড়ুন : দ্রব্যমুল্য কমানোর দাবীতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ সমাবেশ