শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর থেকেঃ উত্তরের শষ্য ভান্ডার দিনাজপুরে সিম চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাণিজ্যিকভাবে সিম চাষ করে ঘুরেছে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা। প্রথমে অজ্ঞাত রোগে গাছ আক্রান্ত হলেও এ বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশের পর কৃষি বিভাগের সার্বক্ষনিক তত্ত্বাবধানে চলতি মৌসুমে জেলায় সিমের ভালো ফলন হয়েছে। সিম চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েকটি গ্রাম এখন সিমের গ্রাম হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন। লাভজনক ফসল হওয়ায় অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন সিম চাষে।
দিনাজপুর জেলার দিগন্ত বিস্তৃত জুড়ে এখন সিমের সবুজের সমারোহ শোভা পাচ্ছে। প্রথমে অজ্ঞাত রোগে গাছ আক্রান্ত হলেও এ বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশের পর কৃষি বিভাগের সার্বক্ষনিক তত্ত্বাবধানে চলতি মৌসুমে জেলায় সিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার অসংখ্য কৃষক এখন সিম চাষে ঝুকে পড়েছেন। এক সময়ের পতিত-অনাবাদী জমিতে অনেকে সিম চাষ করছেন। সিমের আবাদ করে কৃষকরা অধিক লাভের মুখ দেখছেন।
প্রতিদিন সিম কেনার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে নগদ টাকায় জমি থেকে সিম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। উৎপাদিত এসব সিম এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হচ্ছে। সিমের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এবং সিম অর্থকরী ফসলে পরিনত হওয়ায় অনেকের আগ্রহ বাড়ছে সিম চাষে।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ জানান,এ জেলার মাটি ও আবহাওয়া সিম চাষে উপযোগি। প্রথম অবস্থায় সিম গাছে ভাইরাস জনিত রোগে আক্রান্ত হলেও এ বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশের পর কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় তা সারিয়ে তুলতে পেরেছেন কৃষক। আর এতেই জেলায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে সিমের।
ধানের জেলা দিনাজপুরে বাণিজ্যিক ভাবে সিম চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন কৃষক। এবার এ অঞ্চলে প্রায় ৫’শ হেক্টর জমিতে হয়েছে সিমের চাষ।
শাহ্ আলম শাহী,দিনাজপুর থেকে।
২৯-০১-২০২২