ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠি-১ (কাঁঠালিয়া-রাজাপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বীরউত্তম গতকাল সকালে কাঁঠালিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশে কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন শাহজাহান ওমর। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবদুল জলিল মিয়াজীর হাতে দোনালা বন্দুক ছিল; যা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিকালেই চিঠি দিয়েছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল সালেহ বলেন, বৈধ অস্ত্র নিয়ে সমাবেশে যেতে পারবে না এমন কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে এ ঘটনায় ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। কমিটির প্রধান ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী জজ পল্লবেশ কুমার কুণ্ড স্বাক্ষরিত চিঠিতে শাহজাহান ওমর অথবা তাঁর প্রতিনিধিকে সশরীরে এসে প্রকাশ্যে অস্ত্রবহন ও প্রতীক বরাদ্দের আগেই নির্বাচনি প্রচার চালানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে বসা কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবদুল জলিল মিয়াজী বলেন, ‘আগ্নেয়াস্ত্রটি ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীরউত্তমের লাইসেন্স করা। তিনি পুলিশের অনুমতি নিয়ে সমাবেশে এসেছেন। কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)ও উপস্থিত ছিলেন। আমার কাছে অস্ত্রটি রাখতে বলায় রেখেছি। আরেকটি লাইসেন্স করা পিস্তলও ছিল।’ এ বিষয়ে কাঁঠালিয়া থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমিসহ ওই সমাবেশে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না। আইনিভাবে তিনি অস্ত্র নিয়ে জনসমাবেশ করতে পারেন না।’ এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বলেন, ‘কারণ দর্শানোর কোন চিঠি পাইনি। পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরো পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে ধস